মেহেরপুরে ২০ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা

সমীকরণ প্রতিবেদন:
কর্মক্ষেত্রে সাপ্তাহিকসহ বিভিন্ন ছুটি আছে চাকরিজীবীদের। তবে প্রতিদিনই খেত নিয়ে ব্যস্ত কৃষক। একটির পর একটি আবাদ করছেন। ফলাচ্ছেন ফসল। এরই অংশ হিসেবে মেহেরপুরের কৃষকেরা আমন ধান ঘরে তুলে নেমে পড়েছেন ইরি-বোরো ধান চাষে। সরেজমিনে গত কয়েকদিন মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইরি-বোরোর জমি তৈরি ও রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কেউ জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। আবার কেউ রোপণ করছেন ধান। যারা আগেই রোপণ করেছেন তারা দিচ্ছেন সেচ।
কৃষকেরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে তাঁরা ইরি-বোরো ধানের ন্যায্য মূল্য পাননি। আর সার, সেচ ও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারপরও লাভের আশায় মাঠে নেমেছেন তাঁরা। মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম জানান, শীত উপেক্ষা করে লাভের আশায় বোরো ধান চাষে মাঠে নেমেছেন। তাই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। বারাদী গ্রামের কৃষক মিজান জানান, ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করছেন। ফলন ভালো হলে তিনি লাভবান হবেন।
গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, তাঁর এলাকায় সবজি চাষীর সংখ্যা বেশি। তবে খাবারের চাহিদা মেটাতে ধান চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ বাজারে চালের দাম বেশি। ঘরের ধান থেকে চাল পেলে সুবিধা। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ’মেহেরপুর জেলায় এবার প্রায় ২০ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ধানের ফলন ভালো হবে বলে আমরা আশাবাদী।’