মেহেরপুর অফিস:
মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই বিক্রি করার অপরাধে মইনুল হক নামের এক ব্যক্তিকে এক বছর দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জেলার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক মো. শাহিন রেজা এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মঈনুল হক চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ের মুসা মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের কোর্ট এলাকায় একটি ভ্যান থামিয়ে ২৩ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় স্যানেটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ২৫. ও ৩২(গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর সিআর -১৪২/১৮,তাং ৫/৪/১৮। পরে ওই সেমাই পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা থেকে ওই সেমাইয়ের রিপোর্ট দেওয়া হয়। পরে উৎপাদনে মেয়াদের তারিখ ব্যতীত ভেজাল সেমাই সরবরাহ করার অপরাধে আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়। এ মামলায় মোট ৫ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ উল্লেখবিহীন ভেজাল শাপলা মার্কা, স্পেশাল সেমাই উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও বিক্রি করার অপরাধ এবং নিরাপদ খাদ্য ধারা লংঘনের অপরাধে মো. মইনুল হকের ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. রুত শোভা মন্ডল এবং আসামি পক্ষে অ্যাড. খন্দকার আব্দুল মতিন ও সজল কৌশলী ছিলেন।
