নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাডভোকেট হাসান মাহবুবুর রহমান মুকুলকে দরিয়াদির দেনমোহরের টাকা পরিশোধের নিমিত্তে মক্কেল সামছুজ্জোহার নিকট থেকে গ্রহনকৃত ৩০ হাজার টাকা দির্ঘদিন নিজ হেফাজতে রাখার কারণ দর্শাতে স্বশরীরে মেহেরপুর আমলী আদালত-১ এ হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছানা উল্ল্যাহ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর আমলী আদালত-১ এর সি,আর ৪১৬/১৫ নং মামলার আসামী সামছুজ্জোহা ফরিয়াদির সাথে আপষের উদ্দেশ্যে দেনমোহর বাবদ ৩০ হাজার টাকা ৭/৮ মাস পূর্বে আইনজীবী হাসান মাহবুবুর রহমান মুকুলের নিকট দেন। কিন্তু, আসামীর কৌশুলী ফরিয়াদির দেনমোহরের টাকা তাকেও দেননি বা তার মক্কেলকেও ফেরৎ না দিয়ে দীর্ঘ ৭/৮ মাস যাবৎ নিজ হেফাজতে রেখে দেন। বিষয়টি আদালতের গোচরে এলে বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামীর কৌশলী হাসান মাহবুবুর রহমান মুকুলকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে পেশাগত আচরণ পরিপন্থীভাবে কেন মক্কেলের টাকা তার হেফাজতে রেখেছেন এবং পেশাগত অসদাচারনের কারণে কেন তার বিরদ্ধে ঞযব ইধহমষধফবংয চৎধপঃরঃরড়হবৎং ধহফ ইধৎ ঈড়ঁহপরষ ঙৎফবৎ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৩২ ও ৩৩ এর আলোকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে অত্র অভিযোগ মাননীয় সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল টাকা বরাবর প্রেরন করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ ব্যাখ্যা করতে আদেশ দেন।
অপর এক অাদেশে, মেহেরপুর আমলী আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মো: ছানা উল্ল্যাহ সিআর ২৬৩/১৪(গাংনী) মামলায় যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ও নন এক্সিকিউশন রিপোর্ট দাখিলে গাফিলতির কারণের ব্যাখ্যা স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে দাখিলের আদেশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, অত্র মামলাটি গত ০১/০৯/২০১৪ইং তারিখে দায়ের হলে মামলাটি তদন্তের আদেশ হয়। আদালতে মামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে গত ইং-২৯/১২/২০১৪ তারিখে আসামীদের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারার অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদের প্রতি সমন ইস্যু করেন। তৎপ্রেক্ষিতে গত ২২/০২/২০১৫ইং তারিখে সমন জারী অন্তে ফেরৎ আসলে আসামী আজিজুর রহমান আত্মসর্মপনপূর্বক জামিন লাভ করেন এবং আসামী এনামুল হক ও মিজানুর আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করত: ২৬/০৫/২০১৫ইং তারিখ গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের দিন ধার্য করা হয়। এরমধ্যে মিজানুর ২৪/০২/২০১৫ইং তারিখে আদালতে থেকে জামিন নিলেও এনামুল হক পলাতক থাকেন। ধার্য তারিখ ২৬/০৫/২০১৫ইং তারিখ গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় পরবর্তীতে ০৯/০৮/১৫, ১৯/১০/১৫, ২৮/১২/১৫, ২০/০৩/১৬, ০৪/০৫/১৬ এবং ০২/০৮/১৬ইং তারিখে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের জন্য ধার্য করা হলেও অফিসার ইনচার্জ গাংনী থানা, মেহেরপুর উক্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল এবং নন এক্সিকিউশন রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ না করায় আগামী ০৯/০৮/২০১৬ইং তারিখে স্বশরীরে আদারতে উপস্থিত হয়ে আদারতের আদেশ মতে আসামীকে গ্রেফতার করতে না পারলেও কেন ইস্যুকৃত গ্রেফতারী পরোয়ানা বিনা তামিলে ফেরৎ প্রদান করেননি বা পরবর্তী ধার্য তারিখ সমূহের আদেশের প্রেক্ষিতে কেন গ্রেফতারী পরোয়ানা আজ পর্যন্ত তামিল হয়নি বা কেন নন এক্সিকিউশন রিপোর্ট(ঘ.ঊ.জ) আদালতে প্রেরণ করা হয়নি সে বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য অফিসার ইনচার্জ গাংনী থানা, মেহেরপুরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।