ইপেপার । আজ বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

প্রতিবেদক, মেহেরপুর সদর:
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরে উর্মি খাতুন (১৮) নামে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার রাত ৯টার দিকে শহরের সোহাগ ল্যাব থেকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। উর্মি খাতুন মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আসিফ রানার স্ত্রী।
নিহত উর্মির স্বজনরা জানান, রোববার সকালে তলপেটে ব্যাথা শুরু হলে উর্মিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার কথা বললে উর্মিকে হপসাতাল সংলগ্ন সোহাগ ল্যাবে নেয়া হয়। সেখানে সে সময় চিকিৎসক না থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য উর্মিকে বেশ কিছুক্ষণ ল্যাবে বসিয়ে রাখা হয়। এসময় ল্যাবের মধ্যে উর্মি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তড়িঘড়ি করে আল্ট্রাসনোগ্রাফি শেষে ল্যাবের নিজস্ব লোক দিয়ে উর্মিকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই উর্মির মৃত্যু হয়।
সোহাগ ল্যাবের মালিক সোহাগ বলেন, ‘উর্মি রক্ত পরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য আমাদের ল্যাবে আসেন। আমরা রক্ত পরীক্ষা করলেও প্রস্রাবের চাপ না থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। এসময় রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বামী ও আমাদের ল্যাবের লোকজনের সাহায্যে রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। হাসপাতালে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জমির মহাম্মদ হাসিবুল সাত্তার বলেন, ‘উর্মি খাতুন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তলপেটের ব্যাথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। আমরা কিছু পরীক্ষা করতে দিয়েছিলাম। পরীক্ষা করাতে তাকে হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ল্যাবে নিয়ে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। তবে সেখান থেকে আসার পর আমরা তার চিকিৎসা করার সুযোগ পায়নি। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

মেহেরপুরে উর্মি খাতুন (১৮) নামে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার রাত ৯টার দিকে শহরের সোহাগ ল্যাব থেকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। উর্মি খাতুন মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আসিফ রানার স্ত্রী।
নিহত উর্মির স্বজনরা জানান, রোববার সকালে তলপেটে ব্যাথা শুরু হলে উর্মিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার কথা বললে উর্মিকে হপসাতাল সংলগ্ন সোহাগ ল্যাবে নেয়া হয়। সেখানে সে সময় চিকিৎসক না থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য উর্মিকে বেশ কিছুক্ষণ ল্যাবে বসিয়ে রাখা হয়। এসময় ল্যাবের মধ্যে উর্মি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তড়িঘড়ি করে আল্ট্রাসনোগ্রাফি শেষে ল্যাবের নিজস্ব লোক দিয়ে উর্মিকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই উর্মির মৃত্যু হয়।
সোহাগ ল্যাবের মালিক সোহাগ বলেন, ‘উর্মি রক্ত পরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য আমাদের ল্যাবে আসেন। আমরা রক্ত পরীক্ষা করলেও প্রস্রাবের চাপ না থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। এসময় রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বামী ও আমাদের ল্যাবের লোকজনের সাহায্যে রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। হাসপাতালে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জমির মহাম্মদ হাসিবুল সাত্তার বলেন, ‘উর্মি খাতুন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তলপেটের ব্যাথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। আমরা কিছু পরীক্ষা করতে দিয়েছিলাম। পরীক্ষা করাতে তাকে হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ল্যাবে নিয়ে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। তবে সেখান থেকে আসার পর আমরা তার চিকিৎসা করার সুযোগ পায়নি। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়।’