মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক এনায়েত খাঁন খোকন হত্যা মামলার মূল আসামী সহ ৫জন আসামীকে আটক এবং ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার-এর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান। জেলা পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, আলমগীর, মামুন ও ওয়াসিমের স্বীকারক্তি মোতাবেক খলিসাকুন্ডি বাজার থেকে অটোরিক্সাটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডটি মূলত ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ঘটেছে বলেও জানান তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আলমগীর (২৮), রামনগর গ্রামের জিন্নাহ’র ছেলে মামুন (২২), রামনগর গ্রামের আজিমউদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম (২৪) , কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে ফিরোজ আলী(২৩) ও খাইবার হোসেনের ছেলে কাবুল (২৬)। পুলিশ সুপার আরো জানান, মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রফিকসহ পুলিশের দুটি দল বিভিন্ন অঞ্চলে সফল অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের পর থেকে পুলিশ বিভিন্ন ভাবে অপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করে। পরে গত মঙ্গলবার রাতভর পুলিশের কয়েকটি দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিন আসামীকে গ্রেৃফতার করে পরে তাদের স্বীকারোক্তী অনুযায়ী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফিরোজ আলী ও কাবুল হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক এবং দুই নম্বর আসামী মামুন হোসেনের কাছে থেকে নিহতের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মেহেরপুর শহরের অটোরিক্সা চালক খোকনকে কয়েকজন ছিনতাইকারী তার অটোরিক্সা ভাড়া করে সদর উপজেলার টেংরামারী মাঠে নিয়ে এবং তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে হাত-পা বেধেঁ ফেলে রেখে তার অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে নিহতের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার রুমা অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩২। মামলার বাদি রোকেয়া আকতার রুমা পুলিশের তৎপরতায় সন্তোশ প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদ মাহমুদ, সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান, মামলার বাদি রোকেয়া আকতার রুমাসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপ¯ি’ত ছিলেন।