মেহেরপুর অফিস:
মেহেরপুরে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসের পিতা বানি আমিন বিশ্বাসের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে মরহুম বানি আমিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে রাস্তার ওপরে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে গ্রামের কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানাজা ও দাফনকাজ সংক্ষিপ্ত করা হয়। যে কারণে গভীর রাত থেকে মেহেরপুরের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা বানি আমিন বিশ্বাসের বাসভবন এলাকা পুরো ঘিরে রাখেন এবং পরিবারের সদস্যসহ ৩০ জনের মতো মুসল্লি জানাজায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়।
জানাজায় ব্যাপক লোকসমাগম হবে এমন আশঙ্কায় সকাল থেকেই মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ দারা খানসহ পুলিশের উপস্থিতে জানাজা সম্পন্ন হয়। সোমবার সকাল নয়টার দিকে লাশবাহী গাড়িতে করে বানি আমিন বিশ্বাসের লাশ তাঁর বাসভবন এলাকায় পৌঁছালে চারদিকে কান্নার রোল ভেসে আসে। গ্রামবাসীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ বানি আমিন বিশ্বাসের লাশ এক নজর দেখার আগ্রহ প্রকাশ করলেও করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত আকারের মানুষকে অনুমতি দেওয়া হয় লাশ দেখার জন্য। এরপরে সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে বানি আমিন বিশ্বাসের বাসভবনের সামনে রাস্তার ওপর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বানি আমিন বিশ্বাসের ছেলে ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস তাঁর পিতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। মাওলানা রুহুল আমিন জানাজা পড়ান। ইমরুল কায়েস, ইমরুল কায়েসের শ্বশুর জহিরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীসহ ২৫ থেকে ৩০ জন নিকটাত্মীয়রা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে দ্রুততার সঙ্গে গ্রামের কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে, সকাল থেকে কবররস্থানে এলাকাতেও পুলিশের সদস্যরা ঘিরে রাখে। এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরুল কায়েসের পিতা মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ সকালের দিকে মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পাশে এক সড়ক দুর্ঘটনায় বনি আমিন বিশ্বাস মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেওয়া হয়। বানি আমিন বিশ্বাস (৬০) মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মেহেরপুর শহরে আসার পথে ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পাশে বিপরীতগামী আলমসাধুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে বানি আমিন বিশ্বাস দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন এবং তাঁর একটি পা ভেঙে যাওয়াসহ কানে আঘাত পান। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে মেহেরপুর থেকে রেফার্ড করা হলে ওই দিন দুপুরের দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাঁকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। ওই দিন থেকে সেখানে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছিল।
