
সমীবরণ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের এনামুল হক নইলো হত্যার দায়ে গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান, জিল্লুর রহমানসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহীদুল্লাহ এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আতিয়ার রহমান গাংনী উপজেলার লক্ষীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের ছফিতুল্লাহের ছেলে, ছামিদুল ইসলাম একই গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে, শাহার আলী রহমতুল্লাহর ছেলে, টিপু সুলতান সাহার আলীর ছেলে, আব্দুল খালেক গোলাম মোস্তফার ছেলে, আক্তারুজ্জামান আক্তার আহাম্মদ আলীর ছেলে, আব্দুল মান্নান জামান আলীর ছেলে এবং জিল্লুর রহমান আজিত বকসর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামে ঈদগাহ মাঠের কাছে সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হক নইলোর ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় আতিয়ারের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় এনামুল হক নইলোর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত এনামুল হক নইলোর ভাই আজমাইল হোসেন টুটুল বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ১৪৩/৩৪১/৩০২/৩৪ ধারায় আতিয়ার রহমানসহ ৮ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর- গাংনী থানা ৩৪। জিআর কেস নম্বর ২৪১/১৭। দায়রা কেস নম্বর ১৬৯/১৮। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই মাহাতাব উদ্দিন এবং পরে সিআইডি’র এসআই হাসান ইমাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যে আসামি আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমান দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পিপি পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।
এদিকে চাঞ্চল্যকর নইলো হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পূর্বে মেহেরপুর আদালতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিদের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মধ্যে আদালত থেকে কয়েদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।