মেহেরপুরের গাংনীতে ছাত্রী উত্যক্তকারীর তিন মাসের কারাদণ্ড আসামী হাজিরের শর্তে ২ অভিভাবকের মুচলেকা দিয়ে রক্ষা!
- আপলোড টাইম : ০১:৩১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৬
- / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস: গাংনীতে স্কুল ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অপরাধে বাপ্পারাজ (১৮) নামের এক যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুইজন অভিভাবককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম জামাল আহমেদ। দন্ডিত বাপ্পারাজ গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের দেলশাদ আলীর ছেলে সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে গাংনী উপজেলা চত্ত্বরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ দন্ড দেন তিনি। এছাড়া ছাত্রী উত্যক্তকারী প্রধান পলাতক আসামী আলামিনের বড় ভাই মাসুদ রানা (৩০) ও অপর আসামী প্রভাষের পিতা ভাদু দাসকে আসামী হাজির করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসময় মটমুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মনিরুজ্জামান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১০৭ ধারা ও প্যানাল কোর্ট ৫০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বাপ্পারাজ নামের যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল ১০ টার সময় অষ্টম শ্রেনীর তিন ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে আয়ূব আলীর ছেলে আলামিন হোসেন, মহসিন আলীর ছেলে খোরশেদ, জব্বার আলীর ছেলে পারভেজ, ভাদু দাসের ছেলে প্রভাস দাস ও দেলশাদ আলীর ছেলে বাপ্পারাজ প্রেম নিবেদন করার জন্য চিঠি দিতে যায়। স্কুল ছাত্রীরা তাদের চিঠি না নিতে চাইলে চুল ধরে তাদের মারপিট করে। বিষয়টি নিয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে গাংনী থানা পুলিশ বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালান। অভিযানে বাপ্পারাজ গ্রেফতার হলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। প্রধান হোতা আলামিন কে না পেয়ে তার ভাই মাসুদ এবং প্রভাস দাসকে না পেয়ে তার পিতা ভাদু দাসকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ।