সমীকরণ প্রতিবেদন: কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানিকে মুসলিম বিশ্বে এ বছরের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। জর্দানভিত্তিক স্বাধীন গবেষণা সংস্থা রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার প্রতি বছর প্রভাবশালী মুসলিমদের নিয়ে ‘দ্য মুসলিম ৫০০’ তৈরি করে থাকে। এই ৫০০ জনের মধ্যে সর্বাধিক প্রভাবশালী ৫০ জনকে নিয়ে আরেকটি তালিকা করে সংস্থাটি। ২০২২ সালের এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির। পরের দু’টি স্থানে পর্যায়ক্রমে রয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ২০২১ সালে তালিকার শীর্ষে ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। গালফ নিউজ।
রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার জানায়, কাতারের নেতার তীক্ষè কূটনীতি, বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকার কারণে তিনি এ তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন। সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, কাতারের আমির বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখেন এবং বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করেন। একই সাথে আঞ্চলিক শান্তিরক্ষায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করেন। তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র, ওয়াশিংটন-তেহরানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন কাতারের আমির। এ ছাড়া তিনি গত বছর দেশে প্রথমবারের মতো আইনসভা নির্বাচন প্রবর্তন করেন। বিশ্লেষকরা এই পদক্ষেপকে দেশটির গণতন্ত্রের দিকে একটি ঘনিষ্ঠ পদক্ষেপ হিসেবে দেখেছেন। করোনা মহামারী প্রতিরোধেও সাফল্য দেখিয়েছেন কাতারের আমির। আর এ বছরই দেশটিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো অবস্থানেই রয়েছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এর আগে ২০১৭ সালেও জিসিসি সঙ্কটের দিনগুলোতে দোহার দৃঢ় ভূমিকা বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছিল। সে সময় সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর কাতারের ওপর বিমান, স্থল ও সমুদ্র- এককথায় সার্বিক অবরোধ আরোপ করেছিল। ওই সময় সৌদি আরব অভিযোগ করেছিল, কাতার সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। কাতারকে অবরোধ থেকে মুক্ত হতে হলে বেশ কিছু শর্ত দেয় সৌদি। তবে কাতার সৌদির দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। এবারের তালিকায় শীর্ষ ১০ প্রভাবশালী মুসলিম হচ্ছেন- কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান, জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবনুল হোসাইন, পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি মাওলানা তাকি উসমানি, মরক্কোর বাদশাহ এইচ এম দ্বিতীয় মোহাম্মদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ইরানের ধর্মীয় নেতা সাইয়েদ আলি হুসাইন সিস্তানি ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।