ইপেপার । আজ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

মুজিবনগরে সরকারী খাস জমিতে তফসিল সাইনবোর্ড লাগানোর সময়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

গ্রামবাসীর বাঁধা : এসিল্যান্ডের গাড়ি আটকিয়ে বিক্ষোভ
মুজিবনগর অফিস: মুজিবনগরে সরকারী জমি দখলে নিয়ে তফসিল সাইনবোর্ড লাগানোর সময় গ্রামবাসীর রোসানলে পড়েন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দীন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার আগে মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে এসিল্যান্ডের গাড়ি আটকিয়ে দেয় এবং সাইনবোর্ড তুলে নেওয়ার জন্যে বিক্ষোভ করে। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুজিবনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, ভবেরপাড়া গ্রামে ভবেরপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৭৬৭ দাগের ৫ শতক একটি জমি দখলে নেওয়া হয় গত রবিবার। সেখানে লাল পতাকাও টাঙিয়ে দেওয়া হয়। পরে সোমবার সন্ধ্যার আগে ওই জমিতে তফসিল সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে মসজিদের পক্ষ থেকে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফুলঝুড়ি বাঁধা দেন। এসময় সরকারি কাজে বাঁধা না দেওয়ার কথা বললে তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকার নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে তাঁর সরকারি গাড়ি আটকিয়ে দেয়। এসময় এসিল্যান্ড তাদের গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে গ্রামবাসীরা তাতে কর্ণপাত করে না। পরে তিনি কোন কথা না বলে গাড়ি থেকে নেমে উপজেলা নিজ কার্যালয়ে ফিরে যান। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাশেমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখান গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাড়ি উদ্ধার করেন।
এসিল্যান্ড মেজবাহ উদ্দিন আরো জানান, আমি বেআইনিভাবে কোন কিছু করছি না। যা কিছু করছি সব আইনিভাবে। তাছাড়া সরকারি খাস খতিয়ানের জমি কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যায়না। এই জমি শুধুমাত্র আবেদনের প্রেক্ষিতে ভুমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ১৯৪০ সাল থেকে ১৫ শতক খাস জমি মসজিদের দখলে ছিলো। এর ভিতর ৫ শতক জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে ও ৫ শতক জমির উপর দিয়ে রাস্তা আছে। বাকি আছে ৫ শতক জমি। ওখানে একটি ডোবা ছিল। সেটি মসজিদের টাকা খরচ করে মাটি দিয়ে কিছুটা ভরাট করা হয়েছে। এখন এসিল্যান্ড এটিকে জোর করে অন্য একজনকে বন্দবস্ত করে দিয়েছে।
মুজিবনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাশেম জানান, গ্রামবাসীরা ভুলবুঝে এসিল্যান্ডের গাড়ি আটকিয়ে ছিলো। আমরা সেখানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে সেখান থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মুজিবনগরে সরকারী খাস জমিতে তফসিল সাইনবোর্ড লাগানোর সময়

আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অগাস্ট ২০১৮

গ্রামবাসীর বাঁধা : এসিল্যান্ডের গাড়ি আটকিয়ে বিক্ষোভ
মুজিবনগর অফিস: মুজিবনগরে সরকারী জমি দখলে নিয়ে তফসিল সাইনবোর্ড লাগানোর সময় গ্রামবাসীর রোসানলে পড়েন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দীন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার আগে মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে এসিল্যান্ডের গাড়ি আটকিয়ে দেয় এবং সাইনবোর্ড তুলে নেওয়ার জন্যে বিক্ষোভ করে। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুজিবনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, ভবেরপাড়া গ্রামে ভবেরপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৭৬৭ দাগের ৫ শতক একটি জমি দখলে নেওয়া হয় গত রবিবার। সেখানে লাল পতাকাও টাঙিয়ে দেওয়া হয়। পরে সোমবার সন্ধ্যার আগে ওই জমিতে তফসিল সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে মসজিদের পক্ষ থেকে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফুলঝুড়ি বাঁধা দেন। এসময় সরকারি কাজে বাঁধা না দেওয়ার কথা বললে তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকার নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে তাঁর সরকারি গাড়ি আটকিয়ে দেয়। এসময় এসিল্যান্ড তাদের গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে গ্রামবাসীরা তাতে কর্ণপাত করে না। পরে তিনি কোন কথা না বলে গাড়ি থেকে নেমে উপজেলা নিজ কার্যালয়ে ফিরে যান। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাশেমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখান গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাড়ি উদ্ধার করেন।
এসিল্যান্ড মেজবাহ উদ্দিন আরো জানান, আমি বেআইনিভাবে কোন কিছু করছি না। যা কিছু করছি সব আইনিভাবে। তাছাড়া সরকারি খাস খতিয়ানের জমি কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যায়না। এই জমি শুধুমাত্র আবেদনের প্রেক্ষিতে ভুমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ১৯৪০ সাল থেকে ১৫ শতক খাস জমি মসজিদের দখলে ছিলো। এর ভিতর ৫ শতক জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে ও ৫ শতক জমির উপর দিয়ে রাস্তা আছে। বাকি আছে ৫ শতক জমি। ওখানে একটি ডোবা ছিল। সেটি মসজিদের টাকা খরচ করে মাটি দিয়ে কিছুটা ভরাট করা হয়েছে। এখন এসিল্যান্ড এটিকে জোর করে অন্য একজনকে বন্দবস্ত করে দিয়েছে।
মুজিবনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাশেম জানান, গ্রামবাসীরা ভুলবুঝে এসিল্যান্ডের গাড়ি আটকিয়ে ছিলো। আমরা সেখানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে সেখান থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।