মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য ছাড়া দেশে কোন কিছু করা সম্ভব নয় -হুইপ ছেলুন এমপি
- আপলোড টাইম : ০৯:২১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অগাস্ট ২০১৮
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
নানা আয়োজনে নাটুদাহ আটকবরে বিনম্র শ্রদ্ধায় চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: নানা আয়োজনে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় শহীদ দিবস গতকাল রবিবার পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে চুয়াডাঙ্গার ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। দিবসটি উপলক্ষে জগন্নাথপুরে ৮ শহীদের সমাধি (আটকবর) চত্বরে জাতীয় সংসদের হুইপ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলগুলো নানা কর্মসূচি পালন করে। সকাল ৯ টায় জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম এবং মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা খান ও আলী আজগর ফটিক। পতাকা উত্তোলন শেষে হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএমের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিক, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, আবু হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হকের নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি হযরত আলীর নেতৃত্বে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারে নেতৃত্বে জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাবুল হকের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের নেতৃত্বে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছের উদ্দীনের নেতৃত্বে দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,
আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডন ও সাধারণ সম্পাদক আলালের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ, দামুড়হুদা উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক আফজালুল হক ও যুগ্ম আহবায়ক শওকত আলীর নেতৃত্বে দামুড়হুদা উপজেলা শ্রমিক লীগ, জেলা মহিলা লীগ সভানেত্রী কহিনুর বেগম ও সম্পাদিকা মাহামুদা জামান পলির নেতৃত্বে জেলা মহিলা আ.লীগ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদ সহিদুল হকের নেতৃত্বে দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগ, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এ্যাড. আবু তালেবের নেতৃত্বে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগ, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাজেদুল বিশ্বাস মিঠুর নেতৃত্বে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ, নাটুদাহ ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার বিশ্বাসের নেতৃত্বে নাটুদাহ ইউনিয়ন যুবলীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম বিগ্রেড লীগ, সাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু পক্ষ থেকে আট শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে বিন¤্রচিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে জেলা আ.লীগ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে ৫ই আগষ্ট স্থানীয় শহীদ দিবসে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি তার বক্তব্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য ছাড়া দেশে কোন কিছু করা সম্ভব নয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে হলেও মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য প্রয়োজন। দেশ ও মানুষের উন্নয়নেও মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য প্রয়োজন। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও আদর্শের কথা তুলে ধরুন।
তিনি বলেন, আটকবরে যে আট শহীদ রয়েছেন তারা আমার সন্তান, তারা আমার ভাই, তারা আমার সহযোদ্ধা। সেদিন ৫ই আগষ্টে যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের ষড়যন্ত্র করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল এক শ্রেণীর রাজাকার, আলবদর, আলসামস। আজকেও ঠিক তেমনি ওই রাজাকার, আলবদর, আলসামসের দল মাথা চাড়া দিচ্ছে। তারা বর্তমান আ.লীগ সরকারের সাফল্য ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কোটা আন্দোলন, দুইছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সরকার যখন ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছে তখন ও জামায়াত-বিএনপি একটি চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাই এবং মিথ্যা প্রচার করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মাঠে নামাতে চাই।
তিনি এসময় আরো বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে মিথ্যাচার না করে আপনারা মাঠে নামুন, আন্দোলন করেন। তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিয়া লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশে ক্ষমতায় বসার স্বাদ কোনদিন পূরণ হবে না। পারলে সাহস থাকলে লন্ডনে না বসে থেকে বাংলাদেশে আসুন। বেগম জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এতিমের টাকা রাখলেন কোথায়, সেটা বলেন সাধারণ জনগনকে। আপনার ফখরুদ্দিন সরকার আপনার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এতিমের টাকা মারার অপরাধে আদালত আপনাকে সাজা দিয়েছে। আ.লীগ সরকার আপনাকে আটকিয়ে রাখেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আ.লীগ সরকার আজ উন্নয়নের রোল মডেল। আপনাদের কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবেনা।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক সাবেক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, আবু হোসেন, মোস্তফা কামাল, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর হযরত আলী, জেলা মহিলা লীগ সভানেত্রী কোহিনুর বেগম, সম্পাদিকা মাহমুদা জামান পলি, রোজিনা সাথী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হক, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম আহবায়ক শামসুজ্জোহা হাসু, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাবুল হক, দামুড়হুদা উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আফজালুল হক, যুগ্ম আহবায়ক শ্রমিক নেতা শওকত আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক, দামুড়হুদা উপজেলা য্বুলীগের আহবায়ক এ্যাড.আবু তালেব, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছের উদ্দীন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডন, সাধারণ সম্পাদক আলাল, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক আলাউদ্দীন, সাবেক জেলা শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম রসুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবাইত বিন আজাদ সুস্থির, যুবলীগ নেতা হাকিম, সাখাওয়াৎ, সাইফুল আজম হারুন, তুহিন, আলম, মজনু প্রমূখ। ৫ই আগষ্টের ঘটনার বর্নণা তুলে ধরেন সম্মুখ সমরে মুক্তিযোদ্ধা করে জীবিত বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর ফটিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা খান। আলোচনা শেষে মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জেলা আ.লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস।