ধর্ম ডেস্ক: মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আমাদের সমাজে এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এই মহাঅন্যায়ের পরিণাম-পরিণতি সম্পর্কে ভয়াবহ বর্ণনা এসেছে। মহাগ্রন্থ আল কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন, ‘তোমরা মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক এবং মিথ্যা বলা থেকেও বেঁচে থাক এমতাবস্থায় যে, মহান আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করবে। তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না।’ সূরা : হজ, আয়াত : ৩০-৩১ । এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরবিদগণ লিখেছেন, উল্লিখিত আয়াতে মিথ্যা সাক্ষ্যদানকে মূর্তিপূজা তথা শিরকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কারণ, শিরক হলো এমন মিথ্যা অপবাদ যা আল্লাহর প্রতি আরোপ করা হয়। অর্থাৎ যারা শিরক করে তারা এই বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহর সঙ্গে অন্যান্য দেবদেবীও ইবাদত পাওয়ার যোগ্য। তারাও ভাগ্য পরিবর্তন করার মালিক। অথচ আল্লাহতায়ালা সব ধরনের শরিক থেকে মুক্ত এবং পবিত্র। আর মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া এমন একটি অন্যায় যার দ্বারা একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়। নির্দোষ মানুষকে দোষী বানানো হয়। অথচ সেই ব্যক্তি এই অপবাদ থেকে পবিত্র। তাই মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া ও শিরক করা উভয়টি কাছাকাছি অপরাধ। তাই পবিত্র কোরআনে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়াকে মূর্তিপূজার সমতুল্য অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে। রসুলে আকরাম (সা.)-এর বহু হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়াও শিরক সমপর্যায়ের অন্যায়। বিখ্যাত সাহাবি হজরত খুরায়ম ইবনে ফাতেক (রা.) বলেন, ‘একবার রসুল (সা.) ফজরের নামাজ শেষ করার পর দাঁড়ালেন এবং তিনবার বললেন, মিথ্যা সাক্ষ্যদানকে আল্লাহর সঙ্গে শিরকের সমতুল্য করা হয়েছে। আবু দাউদ শরিফ। আরেকটি হাদিসে মিথ্যা সাক্ষ্যদান করাকে সবচেয়ে বড় গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওনায়স (রা.) বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘গুনাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো, (১) আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। (২) পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। (৩) মিথ্যা কসম খাওয়া। প্রকৃতপক্ষে যখন কোনো শপথকারী বাধ্যতামূূলকভাবে শপথ করে এবং তাতে মাছির ডানা পরিমাণও মিথ্যা মিশ্রণ করে তখনই তার অন্তরের মধ্যে মাছির ডানা পরিমাণ একটি দাগ পড়ে যায়, যা কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে।’ (তিরমিজি শরিফ)। প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রসুল (সা.)-কে এরূপ বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তির সুপারিশ আল্লাহর বিধানের পরিপন্থী হয়, (অর্থাৎ মিথ্যা হয়) সে যেন আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর যে ব্যক্তি জেনে বুঝে কারও বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যতক্ষণ না সে তা থেকে ফিরে আসে ততক্ষণ সে আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে থাকে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুুুসলমানের ওপর এমন মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, যা থেকে সেই মুসলমান পবিত্র এবং মুক্ত; এমতাবস্থায় যতক্ষণ না সে তা থেকে (মিথ্যা মামলা করা থেকে) তওবা করবে, ততক্ষণ সে দোজখের কাদার মধ্যে আবদ্ধ থাকবে।’ (আবু দাউদ)। প্রসিদ্ধ সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে অপর একটি হাদিস ইরশাদ হয়েছে। তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কোনো মামলায় সাহায্য করে, সে বস্তুত আল্লাহর গজব নিয়ে ফিরে যায়।’ (আবু দাউদ)।
সর্বশেষ আপডেট
আলমডাঙ্গায় দারিদ্র্য বিমোচনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষে পুষ্টি সমৃদ্ধ উচ্চমূল্যের অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কর্মসূচির আওতায় সুফলভোগী সদস্যদের তিন দিনব্যাপী...
দর্শনায় ফ্যাশন গার্মেন্টস বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপ্তি
দর্শনা অফিস:
দর্শনায় ফ্যাশন গার্মেন্টস বিষয়ক তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপ্তি হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওয়েভ ট্রেড ট্রেনিং সেন্টারে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য আব্দুল...
মেহেরপুরে বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে সেমিনার
সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ...
এক ইউপি সদস্যকে পেটালেন অপর মেম্বার
জীবননগর অফিস:
জীবননগরে সার ও বীজ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সোহেল রানা শ্যামল মেম্বারকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে অপর ইউপি সদস্য জুম্মাত আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে। গতকাল...
জীবননগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জীবননগর থানা-পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)...