মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার : দ্রুত উন্মুক্ত করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে
- আপলোড টাইম : ০৮:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৮
- / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
মালয়েশিয়ায় ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগ বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশটির শ্রমবাজার। এ শ্রমবাজার যাতে দ্রুত আবার উন্মুক্ত হয় এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়াস নেয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে কর্মী নিয়োগের জিটুজি প্লাস পদ্ধতি থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আর জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে সেখানে কর্মী নিয়োগ হবে না। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের একটি বড় শ্রমবাজার। এ বাজার আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এর ফলে দেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং রেমিটেন্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। জানা গেছে, দেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু বাংলাদেশের শ্রমিকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই নাকি মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে সংঘবদ্ধ চক্রের সংশ্লিষ্টতা আর বাড়তি টাকা নেয়ার প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। এই রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করছিল। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চালু হওয়া নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় অভিবাসন শ্রমিক পাঠাতে বাংলাদেশের ১০টি এজেন্সিকে নির্ধারণ করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার। এর আগে বাংলাদেশ থেকে যে কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে পারত। মূলত এই ১০ এজেন্সির একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অনৈতিক ব্যবসার কারণেই শ্রমবাজারে এ সংকট তৈরি হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের উচিত অভিবাসন খাতকে সিন্ডিকেটের প্রভাব এবং দুর্নীতি থেকে মুক্ত করা। তবে এখন সবচেয়ে জরুরি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দ্রুত উন্মুক্ত করার বিষয়ে তৎপরতা চালানো। কুয়ালালামপুরে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিকরা বলছেন, অনলাইন নিবন্ধন ছাড়া সরাসরি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করার কথা ভাবছে মালয়েশিয়া। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন কোনো প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার আগে মালয়েশিয়া এভাবে কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এদিকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিশেষ কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহাথির মোহাম্মদ।