সমীকরণ ডেস্ক: বিশ্ব কাঁপানো মার্কিন নির্বাচন আজ। অবসান হতে যাচ্ছে টানটান উত্তেজনা আর অপেক্ষার। ভোটাররাই এদিন সিদ্ধান্ত নেবেন কে পরবেন বিজয়মালা- ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন নাকি তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৮৯ সালে প্রথম নির্বাচনে জর্জ ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় নারীদের কোনো ভোটাধিকারই ছিল না। আজকে নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এবার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার হাতছানি। হিলারি ক্লিনটন নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সামনে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। এক বছরের বেশি সময়ের এই প্রচারযুদ্ধে যত বিতর্ক আর কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে সেটাও বিস্ময়কর। হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা কে হচ্ছেন তা নিয়ে নাটকীয়তাও কম হয়নি। তবে নাটকের শেষ দৃশ্য মঞ্চায়ন করলেন এফবিআই পরিচালক জেমস কমে। তিনি ই-মেইল কেলেঙ্কারির ফলাফলে বললেন, হিলারি নির্দোষ। আর এতেই খুশির জোয়ার ছড়িয়ে পড়ে ডেমোক্রেটিক শিবিরে। ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে ই-মেইল পাঠানোর তদন্তের ঘোষণা দিয়েছিলেন কমে। আর তাতে ভোটের জরিপে বরাবর এগিয়ে থাকা হিলারির পয়েন্ট নেমে যায়। উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে ট্রাম্প শিবিরে। শেষ মুহূর্তে এসে কমে বললেন, এফবিআই কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তদন্ত শেষ করেছেন। তদন্তের ফলাফলে হিলারির দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। নির্বাচন নিয়ে জেমস কমের নামও আলোচিত হবে বহুদিন। বিশ্বের একক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার মতো সারা বিশ্বেই উন্মাদনা তৈরি হয়। আজকের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। কে হবেন হোয়াইট হাউসের পরবর্তী কর্ণধার : হিলারি নাকি তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প- সেই প্রশ্ন এখন মুখে মুখে। এ নিয়ে ২০ কোটি মার্কিন ভোটার আজ তাদের রায় দেবেন। তাদের রায়ে দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট এবং ৪৮তম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এছাড়া ৩৪ জন সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ জন সদস্যও নির্বাচিত হবেন আজকের ভোটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়াও সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদেও ডেমোক্রেটিকরা ভালো করবেন বলে আভাস মিলছে। এদিকে হিলারির জন্য শেষ মুহূর্তে বড় খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত দৈনিক লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। সোমবার এক প্রতিবেদনে পত্রিকাটি বলছে, তারা বিশাল ব্যবধানে হিলারির জয় দেখতে পাচ্ছে। তাদের পূর্বাভাস হল : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ামক ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট হিলারিকে নিয়ে যাবে ঈর্ষণীয় উচ্চতায়। ৫৩৮ ইলেক্টোলার ভোটের মধ্যে তিনি পেতে পারেন ৩৫২টি। ট্রাম্প পেতে পারেন ১৮৬টি ভোট। ট্রাম্পের একের পর এক নারী কেলেঙ্কারি আর বেফাঁস মন্তব্যে সরগরম ছিল ভোটের প্রচার। এতে ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকানদের অনেকেই তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি নতুন রেকর্ড গড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। জনমত জরিপ, বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের ইতিহাস এবং তাদের প্রতিবেদকদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাটলগ্রাউন্ড বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে খ্যাত নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইও এবং অ্যারিজোনায় জয় পাবেন হিলারি। ট্রাম্প জিততে পারেন আইওয়া এবং উটাহ রাজ্যে।
এদিকে হাফিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, গত দুই মাসে যত জরিপ হয়েছে তার মধ্যে ৯৩ ভাগ জরিপেই এগিয়ে ছিলেন হিলারি। মাত্র ৩ ভাগ জরিপে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। বাকি তিন ভাগ জরিপে উভয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে অভিবাসীদের রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আগাম ভোটও পড়েছে রেকর্ড সংখ্যক। এদের বড় অংশই পাচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। ভোট শেষ হলে আমেরিকানদের মতোই সারাবিশ্ব অপেক্ষা করবে একটি ঘোষণার। নির্বাচনে কে জয়ী হয়েছে তা জানার জন্য শত কোটি চোখ বিনিদ্র রজনী কাটাবে। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল দশটার দিকে জানা যাবে চূড়ান্ত ফল। এবারের নির্বাচনের দিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে। নির্বাচনের দিন হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠী। ট্রাম্পের পক্ষে রুশ সাইবার হামলার কথাও জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনের দিন ট্রাম্প সমর্থকরা তাণ্ডব চালাতে পারেন বলে আশংকা করেছেন। এর প্রেক্ষাপট আগেই তৈরি করে রেখেছেন ট্রাম্প। কারচুপি হতে পারে দাবি করে তিনি ভোট কেন্দ্র পাহারার জন্য দলীয় সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
কলংকিত নির্বাচন : যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচন সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কলংকিত নির্বাচন ছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন। জনমত জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে মার্কিনিরা সবচেয়ে বেশি বিভক্ত হয়েছে। এজন্য বহুলাংশে দায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। মুসলিম ও অভিবাসীবিরোধী মনোভাব উসকে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কটাক্ষ করেছেন- বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে কারও যুদ্ধ বাধলে জাপানিরা সনি টিভি দেখবে। তিনি হিলারিকে জেলে পাঠানোর হুংকার দিয়েছেন, যাকে একনায়কসুলভ বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রেসিডেন্ট কাউকে জেলে পাঠাতে পারেন না। সেজন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে জেলে পাঠানোর রেওয়াজ মূলত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে দেখা যায়, পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সংস্কৃতি তা নয়। হিলারিকে তিনি ‘নোংরা’ ও ‘কুটিল নারী’ বলে মন্তব্য করেছেন। পরাজিত হলে ট্রাম্প নির্বাচনী ফল মানতে কার্যত অস্বীকার করেছেন। রাজনৈতিক সংস্কৃতির বারোটা বাজিয়ে হিলারি ও ট্রাম্প বিতর্ক মঞ্চে করমর্দন করা থেকে বিরত থেকেছেন।
এখানেই শেষ নয়। নির্বাচনে যে বিষবাষ্প তৈরি হয়েছে তার দুর্গন্ধ আরও বহু বছর দেশটিকে সইতে হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কিছু উগ্র ট্রাম্প সমর্থক রীতিমতো বন্দুকযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ট্রাম্প হেরে গেলে তারা বন্দুক নিয়ে মাঠে নামতে পারেন। এছাড়া হিলারি জয়ী হলে তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের, এমনকি তাকে অভিশংসন করার হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছে রিপাবলিকানরা। ফলে নির্বাচন শেষ হলেও হিলারিকে হয়তো কঠিন পথ পারি দিতে হবে। তবে বিশ্বকে তুলনামূলকভাবে শান্ত রাখা ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটিকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলার তাগিদে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের চাওয়া হচ্ছে হিলারির মাথায় যেন শোভা পায় জয়ের রাজমুকুট।
ভোটের গতি-প্রকৃতি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে শ্বেতাঙ্গ ভোটাররা বরাবরই রিপাবলিকান দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন। আর শ্বেতাঙ্গরাই দেশটির ভোটারদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেই হিসাবে ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গদের ভোট বেশি পাবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই শ্বেতাঙ্গ দুর্গে এবার ভাগ বসিয়েছেন হিলারিও। বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে কলেজ পাস শিক্ষিতরা হিলারিকে প্রার্থী হিসেবে তার যোগ্যতার জন্য পছন্দ করেন। ফলে শ্বেতাঙ্গ ভোটে স্পষ্ট বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। আফ্রিকান আমেরিকান হিসেবে খ্যাত কৃষ্ণাঙ্গরা বরাবরই ডেমোক্রেট প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন। এবারও তারা হিলারিকে ভোট দেবেন। তাদের একটা বড় অংশ আগাম ভোট দিয়েছেন। অভিবাসী বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার প্রতিবেশী মেক্সিকো থেকে আসা হিস্পানিকরা এবার হিলারিকেই ভোট দেবেন। কারণ ট্রাম্প তাদের বের করে মেক্সিকোর সঙ্গে দেয়াল তৈরির হুমকি দিয়েছেন। কয়েকটি রাজ্যের ভোট যাদের দোদুল্যমান ভোট বলে অভিহিত করা হয় সেগুলো অনেক বেশি নিয়ামক হয়ে থাকে। তার মধ্যে ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া ও ভার্জিনিয়ার ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব রাজ্যে কোনো দলেরই একক কোনো দুর্গ নেই। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন থেকে চারটি রাজ্যে জয়ী হলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়। তাই এগুলোতে ভোট নিজের ঘরে নিতে প্রার্থীদের ক্লান্তিহীন প্রচার চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো এক দল তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়নি। হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে এবার ডেমোক্রেটিক পার্টি তৃতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোটারদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার অনীহা থাকলেও আফ্রিকান আমেরিকান বারাক ওবামাকে যুক্তরাষ্ট্র বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। নারীদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও মার্কিনিদের আগ্রহ কম বলেই দেখা গেছে। কিন্তু এবার হিলারি সব জরিপে এগিয়ে আছেন।
মার্কিন নির্বাচনের তথ্যকণিকা : জর্জ ওয়াশিংটন প্রথম প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময়ে মাত্র ছয় শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তখন দেশটিতে ছিল মাত্র ১৩টি রাজ্য। ২১ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরাই ভোট দিতে পারতেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্যের ১৮ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ সবাই ভোটার। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসে নিুকক্ষে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছেন ৪৩৫ জন এবং উচ্চকক্ষ সিনেটে ১০০ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। তারাও ভোটে নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ বছর। সিনেটরের বয়স কমপক্ষে ৩০ বছর আর নিুকক্ষের রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২৫ বছর। প্রতি চার বছর পরপর নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দুই মেয়াদের বেশি কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না। ১৮ ও ১৯ শতকজুড়ে ডেমোক্রেটিক আর রিপাবলিকান পার্টিই ঘুরেফিরে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় গেছে। তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল দেশটিতে দাঁড়াতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মনোনয়ন প্রক্রিয়াও অভিনব। দুই দলই নির্বাচনের আগে দলীয় সম্মেলনের আয়োজন করে। তারপর বিভিন্ন রাজ্যে প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হলেও সব সময় প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন এমন নয়। ১৮২৪ সালে এবং সাম্প্রতিককালে ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ আর আল গোরের নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটে বিজয়ীরা প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। কেননা যুক্তরাষ্ট্রে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি রয়েছে। ৫৩৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে হয়। জানুয়ারিতে ঘোষণা হয় ফলাফল। রাজ্যের বেশিরভাগ ভোটার যেদিকে ভোট দিয়েছেন সেই পক্ষেই ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটাররা ভোট দিয়ে থাকেন।