-মোঃ মাসুদ পারভেজ
মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে, ছোট্ট একটি গাঁ’য়
ইচ্ছে মতো হেসে খেলে, দিনটা কেটে যায়।
গ্রামটি নয় শুধুই গ্রাম, মা আমার সে হয়-
মাথাভাঙ্গা নদী সে তো, আমার আপন ভাই।
একপাশে তাঁর বিশাল মাঠ আর- নানান গাছের সারি
আরেক পাশে নদী ঘেঁষে, আমার ছোট্ট বাড়ি।
এক গাঁ ছেড়ে অন্য গাঁয়ে, একেবেকা তাঁর যাওয়া,
আমার গাঁয়ে রুপ যেন তাঁর, না চেয়েও ঢের পাওয়া।
আষাঢ় শ্রাবণ বুক জুরে তাঁর, ¯্রােতের থৈ থৈ খেলা
তাই দেখে ভাই তৃপ্তি-সুখে, কাটে আ’ধেক বেলা।
রাত্রি বেলা শুনায় আমায়, কলকলানি গান
আসে যখন উজান থেকে, বুক জুরে তাঁর বান।
গাঁয়ের যতো ছেলে মেয়ে, করে সেখানে স্লান
কতো রকম সাঁতার খেলা, জুড়াই তাঁদের প্রাণ।
চৈৎ-বৈশাখে মাথাভাঙ্গা, শুকিয়ে যখন যায়
দখল করে শক্ত লোকে, কষ্ট তখন পাই।
মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে, আমার নাড়ির টান
মাথাভাঙ্গার দুঃখ মানে, কাঁদে আমার প্রাণ।
মাথাভাঙ্গার বাকা ছবি, থাকবে বুকে আঁকা-
সব সময়ই রাখবো মনে, পড়বে না তা ঢাকা।