সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশের ১৮ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ চলছে। অন্যান্য অংশে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও তীব্র শীত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশব্যাপী তীব্র শীতে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগে ভুগছে মানুষ। ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা প্রচণ্ড কাশিতে ভুগছে। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা গেছে, নিউমোনিয়ার রোগীতে ভরে গেছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিউমোনিয়ার রোগীতে ভর্তি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও একই অবস্থা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, আগেই ব্যবস্থা নেয়া হলে এসব রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। তারা বলছেন, শীতকালীন এই রোগগুলো থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর নিজেকে উষ্ণতার মধ্যে রাখা। এ সময় সব ধরনের খাবার খেতে হবে গরম গরম। কেউ চা পান করতে না পারলেও পানির তৃষ্ণা মেটাতে গরম পানি পান করতে পারলে উপকার পাওয়া যাবে। ঠাণ্ডা বাতাস যেন গায়ে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন, যাদের সামর্থ্য আছে তাদের উচিত পানি গরম করে গোসল করা। এই শীতে যেসব রোগ হচ্ছে এর বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হোসেইন খান। তিনি বলেন, ঠাণ্ডাজিনত এসব রোগে অযথাই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসকে মারতে পারে না বরং অযথাই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঠাণ্ডাজনিত এসব রোগের কিছুটা আরাম বোধ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল সেবন করা যেতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এমন কোনো কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে গেছে। বর্তমানে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলাসহ যশোর ও চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের ১৮ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহ এলাকার বাইরে দিনের তাপমাত্রা খুব ভালো একটি পর্যায়ে উঠলেও রাতের তাপমাত্রা এখনো বেশ নিচে। দিনের বেলা চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দিনের তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে। ফলে এসব বিভাগের দিনে বেশ স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে।
