ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের নুরুল্লাহ পাগলের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মারপিটের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। নুরুল্লাহ পাগল আলামপুর গ্রামের জহর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর মহেশপুরের আলামপুর গ্রামে ২১, ২২ ও ২৩ মে ফকিরি সম্প্রদায়ের ওরস মাহফিল হয়। ওরসের দ্বিতীয় দিন গানবাজনার একপর্যায়ে গ্রামের কিছু যুবক বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে নুরুল্লাহ পাগলকে মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। গত বুধবার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের চেষ্টা করা হলে আলামপুর গ্রামের ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানালে মহেশপুর থানাকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলে পুলিশ হেডকোয়াটার্স। পরে মহেশপুর থানার এসআই রেজাউল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদর্ন প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নিলে নুরুল্লাহর ভাই মোশাররফ হোসেন বাধা দেন। তিনি লাশের ময়নাতদন্ত করাকে ঝামেলা মনে করেন। পরে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্ত করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ২২ মে ফকিরদের ওরস মাহফিলের দ্বিতীয় দিন আলামপুর গ্রামের নাজমুল, শুভ, সবুজ ও জালাল উদ্দীন নুরুল্লাহকে মারধর করেন। মারধরের কারণে হৃদ্রোগে নুরুল্লাহর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার এসআই ও আলামপুর বিটের কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, সুরতহালে রিপোর্ট মারধরের কোনো আলামত ছিল না। তবে শরীরের অভ্যন্তরে কোনো কিছু থাকলে তা ময়নাতদন্তে ধরা পড়েব। তিনি বলেন, প্রথমে নিহতর ভাই মোশাররফ হোসেন ময়নাতদন্ত করতে রাজি ছিলেন না। আমিই নিজ উদ্যোগে মৃত্যুর ক্লু উদ্ধারে ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নিয়েছি। হত্যার আলামত পেলে অপরাধীরা কোন রকমের ছাড় পাবেন না।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ঝিনাইদহের অনেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ফোনকারীর পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে না। ফলে পুলিশ ও অপরাধী উভয়ের কাছেই ফোনদাতা বিরাগভাজন হচ্ছেন।