মহেশপুরের অর্ধেক মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি আজ খানাখন্দকে ভরা

Jhenidah-Road-Photo-5-10-16

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: মহেশপুর উপজেলার প্রায় অর্ধেক মানুষ খালিশপুর-জিন্নানগর ভায়া মহেশপুর সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু সড়কটি আজ খানাখন্দকে ভরা। যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচলে চরম ঝুঁকিপুর্ন হয়ে উঠেছে। অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। পথচারীদের সময় ও শ্রম বিনষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। অবশ্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অধিক বৃষ্টির কারণে সড়কটি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন জনসাধারণের আপাতত চলাচলের উপযোগি করে তোলা। তাছাড়া ৪২ কিলোমিটারের এই দীর্ঘ সড়কটি নতুন করে মেরামতের প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে। ঝিনাইদহ জেলার দক্ষিন-পশ্চিমের উপজেলা মহেশপুরের ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নের মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। কালীগঞ্জ-জীবননগর হাইওয়ে সড়কের খালিশপুর বাজার থেকে বের হয়ে মহেশপুর শহরের উপর দিয়ে চলে গেছে জিন্নানগর সড়কটি। মহেশপুর উপজেলার এসবদিকে, পান্তাপাড়া, স্বরূপপুর, শ্যামকুড়, নেপা, কাজীরবেড় ইউনিয়নের পাশাপাশি ফতেপুর, বাঁশবাড়িয়ার ইউনিয়নের কিছু মানুষ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। এর সঙ্গে রয়েছে মহেশপুর পৌরসভার মানুষ। তারাও এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু বর্তমানে ওই সড়কটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই সড়কে অবস্থিত গুড়দা বাজারের বাসিন্দা দবির হোসেন জানান, একটি উপজেলার অর্ধেকের বেশি মানুষ যে সড়ক দিয়ে চলাচল করে সেই  সড়কের এই অবস্থা ভাবাই যায় না। কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ বিশ্বস জানান, খালিশপুর-জিন্নানগর সড়ক অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি আধাঘন্টা পর পর কালীগঞ্জ-জিন্নানগর বাস চলাচল করে। এছাড়া প্রতিদিন ৭ টি ঢাকায় চলাচলকারী পরিবহন রয়েছে। সড়টির এই বেহাল দশার কারনে প্রায়ই অনেক গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকছে। এতে যাত্রীরা হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন। ওয়াহেদ আরও জানান, তারা অনুরোধ করে চালককে বুঝিয়ে রাস্তায় গাড়ি পাঠালে ফিরে এসে সে আর যেতে চান না। অনেকে কানে ধরে প্রতিজ্ঞা করেন ওই সড়কে আর গাড়ি চালাবেন না। স্থানীয় স্বরূপপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, প্রতিনিয়তই লোকজন তাদের গালিগালাজ করেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।