ধর্ম প্রতিবেদন: মুমিনের জীবনে মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসার গুরুত্ব অপরিসীম। বরং এ ভালোবাসাই ইমানের প্রাণ। এ ভালোবাসা ছাড়া না ইমানের পূর্ণতা আসে, না ইমানের স্বাদ অনুভূত হয়। আবার নিছক ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, বরং পার্থিব সব বিষয়ের চেয়ে এমনকি নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে হবে তাঁকে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তোমাদের মা-বাবা, সন্তানসন্ততি ও অন্য সব মানুষ থেকে প্রিয় হব।’ (বুখারি) একদিন ওমর (রা.) মহানবী (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমার কাছে আমার প্রাণ ব্যতীত সবকিছুর চেয়ে প্রিয়।’ তিনি বললেন, ‘এটুকু যথেষ্ট নয়, হে ওমর। যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! ততক্ষণ তুমি পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ আমি তোমার কাছে তোমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় না হব।’ তৎক্ষণাৎ ওমর (রা.) বললেন, ‘আল্লাহর কসম! আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও প্রিয়।’ তখন নবী (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, এবার ঠিক আছে।’ (বুখারি) মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্বল ইমান। এর স্বাদ পেতে মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহ ও রাসুলের ভালোবাসা সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তি ইমানের স্বাদ আস্বাদন করে। প্রথমজন যার কাছে আল্লাহ ও রাসুল সবকিছুর চেয়ে প্রিয়।…’ (মুসলিম) মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসা যেভাবে ইমান-আমলে উৎকর্ষ লাভের উপায়, তেমনি আখিরাতে সাফল্য লাভেরও মাধ্যম। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে বললেন, ‘কিয়ামতের জন্য তুমি কী প্রস্তুতি নিয়েছ?’ লোকটি বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি যাঁকে ভালোবাসো, (কিয়ামতের দিন) তাঁর সঙ্গেই থাকবে।’ (মুসলিম)