মন্দ ধারণা পোষণ পাপ
- আপলোড টাইম : ০৮:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন যে কোনো কাজ ইসলামে বর্জনীয়। এমনকি শান্তি-শৃঙ্খলায় প্রতিবন্ধক হওয়ার আশঙ্কা আছে, এমন কাজও ইসলামে নিষিদ্ধ। কারো সম্পর্কে কুধারণা পোষণ করাও এর একটি। অহেতুক অন্যের সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষণ করা যাবে না। যতক্ষণ না কারো অন্যায়-অপকর্ম প্রকাশ্য রূপ ধারণ করে, ততক্ষণ কারো সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষণ করা ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ। ইসলামে অহেতুক মন্দ ধারণা পোষণ থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোরানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘কুধারণা পোষণ করা গোনাহ।’ হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) কাউকে দোষারোপ করতেন না এবং কারো অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অসুন্ধানে লিপ্ত হতেন না। অর্থাৎ কারো সম্পর্কে তিনি কুধারণা পোষণ করতেন না। কুধারণা ও অপবাদের ক্ষেত্রগুলো থেকে বেঁচে থাকতে রাসুল (সা.) স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা অপবাদের ক্ষেত্রগুলো থেকে বেঁচে থাক।’ যেখানে গেলে মানুষ সন্দেহ করবে, সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার নির্দেশ রয়েছে হাদিসে। একবার রাসুল (সা.) মসজিদে নববীতে এতেকাফরত ছিলেন, উম্মুল মুমেনিন হজরত সাফিয়া (রা.) রাতে তার সঙ্গে দেখা করতে মসজিদে এলেন। তিনি কিছু সময়ের জন্য নবীজীর কাছে বসলেন। বিদায়ের সময় নবীজী তাকে মসজিদের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে দু’জন সাহাবীকে যেতে দেখে রাসুল (সা.) উচ্চৈঃস্বরে বললেন, এই মহিলা আমার স্ত্রী সাফিয়া, তাকে বিদায় জানাতে এসেছি। সাহাবারা এর কারণ জানতে চাইলে রাসুল (সা.) বললেন, ‘শয়তান মানুষের রক্তের সঙ্গে মিশে শিরায় শিরায় চলাচল করে থাকে। কাজেই আমার মনে আশঙ্কা জাগল, পাছে তোমাদের অন্তরে এই কুধারণা জন্মে যায় কি-না যে, আল্লাহর রাসুলের সঙ্গে এই মহিলা আবার কে? সে জন্য আমি বিষয়টি খোলাসা করে দিলাম।’ এই ঘটনার দ্বারা শিক্ষণীয় বিষয় হলো, যেখানে কোনো ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা থাকে, সেখানে যথাসম্ভব তা পরিষ্কার করে ফেলা উচিত। আর কোনো বিষয় এক নজর দেখেই এর সম্পর্কে মন্তব্য করে বসা বা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত নয়। কোনো সংবাদ এলেও আগে তা যাচাই-বাছাই করতে হবে; পরে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। কুধারণার কারণে আমাদের সমাজে অনেক হিংসা-হানাহানির জš§ হয়। সবার উচিত এ থেকে বেঁচে থাকা।