
স্বাস্থ্য ডেস্ক: মধুর গুণাগুণের বয়ান নতুন কিছু নয়। অনেক ক্ষেত্রেই একে মহৌষধ বলা হয়। দারুণ স্বাদের ঘন তরল আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামে পূর্ণ। ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করে মৌমাছি বানায় এই অপূর্ব জিনিসটি। এক পাউন্ড মধু বানাতে কি করতে হয় জানেন কি? প্রায় ৬০ হাজার মৌমাছি ৫৫ হাজার মাইলের সমান পথ অতিক্রম করে ২০ লাখের মতো ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করে মাত্র ১ পাউন্ড মধু বানাতে পারে। মৌচাকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সংরক্ষিত হয় মধু। এখানে জেনে নিন মধুর দারুণ ১১টি গুণের কথা। ১. প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক:শক্তি লাভে এনার্জি ড্রিঙ্ক ত্যাগ করুন। কারণ মধুর মতো এত কার্যকর শক্তিবর্ধক আর নেই। এটা প্রকৃতির এনার্জি ড্রিঙ্ক। মধুতে যে চিনি থাতে তা প্রাকৃতিক। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ব্যায়াম বা পরিশ্রমের পর অবসাদ ভর করলে তা দূর করে মধু। ২. কফের পথ্য: ২০১২ সালে জার্নাল অব পেডিয়াট্রিকস-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, কাশি উপশমে দারুণ কার্যকর মধু। এটি শুষ্ক গলায় শান্তি দেয়। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জিল্যান্ডের মানুকা গাছ থেকে তৈরি হয় মানুকা মধু। এটি দারুণ উপকারি। ৩. ঘুম দেয়: যাদের ঘুম আসে না তারা মধু থেকে গভীর ঘুম পেতে পারেন। বিশেষ করে দুধের সঙ্গে মধু মিলিয়ে খেলে দারুণ উপকারিতা পাবেন। মধু দেহে সেরোটনিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায় যা মন ভালো করে। দেহ সেরোটনিনকে মেললাটনিনে রূপান্তর করে। এটি ঘুম আনে ও এর সময় বৃদ্ধি করে। ৪. ক্ষত ও পোড়াতে: মধুতে আছে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ। ক্ষত বা পোড়ায় মধু দিলে তা অন্য তরলকে শুষে নিতে পারে। এ ধরনের আঘাতে মধু ফার্স্ট এইড হিসাবে বিবেচিত হয়। তা ছাড়া মধুর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ক্ষতে জীবাণু বিস্তারে বাধা প্রদান করে। ২০০৫ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অব সার্জারি বলা হয়, কাটা, ক্ষত বা পোড়ায় মধু দিয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। ৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।