করোনা রোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে অভিযান
সমীকরণ প্রতিবেদন:
করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা, জীবননগর ও কার্পাসডাঙ্গায় পৃথকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ জনকে ৬ হাজার ৩ শ টাকা জরিমানা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী হাউসপুরে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন অপরাধে বায়োজিতকে ২ হাজার টাকা, সাইফুল ইসলামকে ২ হাজার টাকা, নজরুল ইসলামকে ২ শ টাকা, মহিরুদ্দিনকে ২ হাজার টাকা ও আলতাব হোসেনকে ১ শ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় থানার এসআই জামাল ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
জীবননগর:
জীবননগরে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মুনিম লিংকন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় মুখে মাস্ক না থাকায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১১ জনকে ২ শ টাকা করে মোট ২ হাজার ২ শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। একই সঙ্গে সকলকে একটি করে মাস্ক প্রদান করা হয়।
কার্পাসডাঙ্গা:
দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মোটরসাইকেল আরোহীসহ মাস্ক না ব্যবহার করায় ১০ জনের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলারা রহমান। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় তিনজন মোটরসাইকেল আরোহীকে ৫ শ টাকা করে এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় আরও দুইজন ব্যক্তির নিকট হতে দেড় শ টাকা করে জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদিকে, কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মুখে মাস্ক না ব্যবহার করায় পাঁচজনকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের নাজির ওমর ফারুক, রফিকুল ইসলাম ও থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম।
