সমীকরণ প্রতিবেদন: ভোলায় গত রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুমেনসহ ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা করেছে পুলিশ। এতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৩৫০ জনকে আসামি করে ২টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ভোলা সদর থানায় এ দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। ভোলা সদর থানার এসআই মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা এবং স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী হত্যার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছেন ভোলা থানা পুলিশ। শহরের গোরস্থান মসজিদে নিহতের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ভোলার সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আ. রহিম হত্যার ঘটনায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোলা থানা মামলা না নিলে তারা কোর্টে মামলা করবেন বলেও জানান জেলা বিএনপি’র সভাপতি। এদিকে ভোলার শহরের অগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মার্কেটে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি অফিসের সামনেও পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। অফিস আদালত খোলা থাকলেও শহরে মানুষের উপস্থিতি কম।
অপরদিকে ভোলার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে নিহত আ. রহিমের জানাজা ভোলার গোরস্থান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত জানাজায় জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুমেনসহ হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ গুলি করার পর নিহত আ. রহিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। আমরা ভোলা থানার ওসি তদন্ত আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা প্রস্তুত করেছি। আমরা এই মামলাটি করবো। দ্রুত দোষীদের বিচারের দাবিও জানাবো প্রশাসনের কাছে।