চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে পেরেছি কিনা, সেটা হলো অনেক বড় বিষয়। ভালো মানুষ তখনই হওয়া যায়, যখন ভালো লেখাপড়ার পাশাপাশি মানবীয় গুণাবলি অর্জন করা যায়। নান্দনিকতায় বেড়ে উঠলে নিজে আলোকিত হওয়া যায়, চারপাশেও আলো ছাড়ানো যায়। নান্দনিকতায় বড় হতে হলে মনের জগৎটাকে অনেক বড় করতে হবে। মনের জগৎকে বড় করতে হলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের আয়োজনে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকনের সভাপতিত্বে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান ও নুরুন্নাহার কাকলী। সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ মালিতা ও শাহ আলম সনি, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সানজিদা খাতুন ও আব্দুল্লাহ। অভিভাবকদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভীন প্রমুখ।
এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৭৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মোট চারটি ক্যাটাগরিতে ৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে, উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানে ৬১ জনকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ১লাখ ৮৩ হাজার টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনকে ৪ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা, মেডিকেল/ ডেন্টালের ১১ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ৫৫ হাজার টাকা, প্রকৌশলের ১০ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ৫০ মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
