বেনাপোল স্থলবন্দরে বিস্ফোরক নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক থেকে এক হেলপারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লিনগালা রাজামাল্লাহ (৪৩) নামের ওই হেলপার নিজ গাড়িতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তার বাড়ি ভারতের অন্ধপ্রদেশের ধানাপল্লী ওয়ারংগাল গ্রামে। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে না সে আত্মহত্যা করেছে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
গতকাল সোমবার সকালে বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে রক্ষিত একটি বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পোর্ট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক গুরুগু পোচায়াকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিস্ফোরক নিয়ে আসা ওই ট্রাকের নম্বর এপি ২৪ টিসি-৩৪৮৮। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান, বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল ও মামুন কবির তরফদার, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান। বেনাপোল বন্দরে কর্তব্যরত আনসারের পিসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি সে তার নিজ ট্রাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আছে। পরে থানা ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা বিষয়টি অবহিত করি। বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, ভারত থেকে ১১টি ট্রাকে করে গত ১৫ জানুয়ারি বিস্ফোরক আমদানি করা হয়। তার মধ্যে বিস্ফোরকবাহী ট্রাকের একজন হেলপার অজ্ঞাত কারণে ট্রাকের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই গাড়ির চালক গুরুগু পোচায়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ ভারতে পাঠানো হবে।