চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ অঞ্চলের প্রায় ৩০টি বিনোদন কেন্দ্রে প্রতিবার ঈদ আনন্দে মেতে উঠতেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। করোনার কারণে গত দুই বছর এ অঞ্চলের বিনোদন, এতিহ্যবাহী স্থাপনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্থানগুলোতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকলেও এবার ছিল না কোনো বাধ্যবাধকতা। আর গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিতে নিতে আগে থেকেই নানা আয়োজনে প্রস্তুত ছিল বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু ঈদের দিন সকাল থেকেই শুরু হওয়া বৃষ্টি তাতে দেয় বাগড়া। বৃষ্টিতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন বিনোদন প্রেমীরা। তবে ঈদের পরদিন ঈদ আনন্দে মাততে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। গতকাল বৃহস্পতিবারও পরিবার-পরিজন নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদ আনন্দে মেতেছেন।
করোনায় দুই বছর ঘরবন্দি ঈদ পালন করতে হয়েছে সবারই। এবার করোনার বিধি-নিষেধ উঠে গেলে ঈদের আগেই থেকে খুলে দেওয়া হয় বিনোদন কেন্দ্র, এতিহ্যবাহী স্থাপনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানসহ চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ অঞ্চলের দর্শনীয় সব স্থান। আর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মালিকপক্ষেরও আশা ছিল গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন এবার ঈদে। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ঈদের সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে মিলিয়ে যায় অনেকের ঈদ আনন্দ। বৃষ্টিতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন বিনোদন প্রেমীরা। তবে অনেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় করেন। বৃষ্টি থামলে সন্ধ্যার পরেও অনেকে বিনোদন কেন্দ্র খোলা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে শহরের উন্মুক্ত স্থানে মাতেন ঈদ আনন্দে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তিন জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
গতকাল সকাল থেকেই রোদ-মেঘের লুকোচুরিতেই ঘরবন্দি মানুষ বাইরে বের হতে শুরু করেন। আর এতেই উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোসহ এ তিন জেলার সব দর্শনীয় স্থানগুলোই ভিড় বাড়তে থাকে। শুধু বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নয়, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়িতে ঘুরে ঈদ আনন্দে মাতেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাবা-মায়ের সাথে ঈদ আনন্দ উদ্যাপনে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়তে দেখা গেছে ছোট ছোট শিশুদের। তাই দুই বছর পর সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্ক, শিশুপার্ক, এ জেলার দামুড়হুদার ডিসি ইকোপার্ক, তালসারি, কার্পাসডাঙ্গার কবি নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘর, ইব্রাহিমপুরের মেহেরুন নেছা পার্ক ও জীবননগরের জমিদার বাড়ি, আলমডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমি ও পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ও দেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর কমপ্লেক্স এরিয়াসহ এ জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো আবার ঈদ আনন্দে মাতেন সবাই।