বিয়ে বাড়ীতে রান্নার কথা বলে এনে, রাতভর ধর্ষণ!

চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়ায় দুই নারী গণধর্ষণের শিকার, ধর্ষক মিলন আটক
প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়ায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে দুই নারীকে জোরপূর্বক রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগে এক ধর্ষককে আটক করেছে দর্শনা থানার পুলিশ। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত পরশু সোমবার আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী বাজারের ভাই ভাই ফাস্টফুডের স্বত্বাধিকারী বোয়ালিয়া গ্রামের পুটি বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে সুমন চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর গ্রামের রহমানের মেয়ে (৩৫) ও আলমডাঙ্গা পশুহাট সংলগ্ন এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়েকে (৩২) বিয়ে বাড়িতে রান্না করা বাবুর্চির কাজের জন্য চুক্তি করে নিয়ে আসেন। সুমনের দেওয়া ঠিকানামতে তাঁরা হিজলগাড়ী বাজারে এসে পৌঁছানোর পর তাঁদেরকে ইজিবাইকযোগে তাঁরই সহযোগী বোয়ালিয়া গ্রামের আলতার ছেলে মিলনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর রাতে সুমন, মিলন, একই গ্রামের ইজার উদ্দিনের ছেলে সাগরসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন ওই দুই নারীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে ফজরের আজানের সময় ছেড়ে দিলে গণধর্ষণের শিকার দুই নারী স্থানীয়দের সহযোগিতায় দর্শনা থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান কাজল ভিকটিম ও ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে আসামিদের আটক করতে অভিযান শুরু করে। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের মাত্র দেড় ঘণ্টার মাথায় ধর্ষকদের মধ্যে মিলন হোসেনকে নেহালপুর পশ্চিমপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে। পরে মিলনের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক অন্য আসামিদের আটক করার জন্য অভিযান শুরু করে পুলিশ। কিন্তু আসামিরা গা-ঢাকা দেওয়ায় তাৎক্ষণিক তাঁদের আটক করা সম্ভব না হলেও দ্রুত আটকের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যহত আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।