চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তাসহ ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় অন্তত চার শতাধিক আহত হয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান রফিক উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যান্টেনডেন্টস মনিরুজ্জামান (৩২), মমিনুল হকের (২৪) বাড়ি বাঁশাখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে। তিনি ফরিদুল আলমের ছেলে। অন্যজন একই উপজেলার পূর্ব চারিয়ার নাপোড়া এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২৪), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬), রবিউল আলম (১৯), বাঁশাখালীর চনপাড়ার এলাকার আবব্দুল মজিদের ছেলে। এর মধ্যে মহিউদ্দীন বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি বলেন, বার্ন ইউনিটে এই মুহূর্তে ৩ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া রোগী ভর্তি রয়েছেন। ৪০ থেকে ৪৫ দগ্ধ হয়েছেন রোগী আছেন ৪৪ জন। সবার শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের অর্থপ্রেডিক ওয়ার্ডে ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এরসঙ্গে বেসরকারি ম্যাক্স, ন্যাশনাল, মেট্রপলিটন হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে অবস্থা গুরুতর হওয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্যকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. তুহিন ও মোতাহের হোসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, শনিবার রাত ১১টায় লাগা এ আগুন দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মী। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন