
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কার হওয়া অন্যরা হলেন তাবাসসুম ইসলাম, ইসরাত জাহান মিম, মোয়াবিয়া জাহান এবং হালিমা খাতুন ঊর্মি।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপাচার্যের দপ্তরে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রক্টর জানান, সভায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডাক, ইমেইল এবং মোবাইলে নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে এসব সমপন্ন করতে হবে। তাদের কাছ থেকে জবাব প্রাপ্তির পর পরবর্তী শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তা উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট যে নির্দেশনা প্রদান করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা অনতিবিলম্বে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত সভায় গৃহীত হয়।
এদিকে পছন্দের আবাসিক হল বাছাই করতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে গতকাল ক্যাম্পাসে ফিরেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাতভর নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন, ফুলপরীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। এ বিষয়ে পাবনার এসপি ও কুষ্টিয়ার এসপির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তার বাসা থেকে পাবনা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। পরে শিলাইদহ ঘাট থেকে সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলম ও ইবি থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়।
ক্যাম্পাসে ফিরেই নতুন আবাসিক হলে ওঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন ফুলপরী। তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিকতা পরিবর্তন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আবাসিকতার জন্য আবেদন করছেন। ফুলপরীর বাবা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন আমার মেয়েকে নিরাপত্তা ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলম বলেন, শিলাইদহ ঘাট থেকে ফুলপরীকে ইবি থানার পুলিশের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছিলাম। বিকেলে তাকে শিলাইদহ ঘাটে পৌঁছে দিয়েছি। সেখান থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত পাবনা জেলা পুলিশ তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবে।