জাহিদ হাসান জিহাদ : বিয়ে করেও স্বামীর ঘরে উঠতে পারছেন না নববধূ মুক্তা রাণী (২৩)। যেন তার সুখের সংসার ভাঙ্গার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মো: মাজহারুল ইসলাম। কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন এখানে মুক্তা রাণীর সংসারে অশান্তির আগুন লাগানোর রহস্যটা কি? মাজহারুল ইসলামের বিষয়টি এলাকায় চ্যাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে মর্মে নিরুপায় হয়ে মুক্তা রাণী বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় স্বামী বেলায়েত হোসেন লিটন ও তার আপন মামাতো ভাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম (৪৮) এবং সহযোগী ইকবাল হোসেন (৪০) নামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের ও একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যাহার নং—১২৫৩, তারিখ—১৬/০২/২০২২ইং। জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের সালনা মৈশানবাড়ী এলাকার আবুল কালামের মেয়ে মোসা: মুক্তা রাণী (২৩) এর সাথে ২ মাস পূর্বে দক্ষিণ সালনা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে বেলায়েত হোসেন লিটন (৩৫) এর সাথে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে বিবাহ করে। বিবাহের পর বেলায়েত হোসেন লিটন স্ত্রী মুক্তা রাণীকে তার নিজ বাড়িতে না নিয়ে জয়দেবপুর বিলাসপুর এলাকায় একটি বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। এ সময় মুক্তা রাণী বেলায়েত হোসেন লিটনকে তাহার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে সে বিভিন্ন রকম তালবাহানা শুরু করে এবং মুক্তা রাণীকে কোন বরনপোষণ না দিয়ে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করতে থাকে। এ সময় নিরুপায় হয়ে মুক্তা রাণী তার স্বামীর ঠিকানায় গেলে মুক্তা রাণী জানতে পারে বেলায়েত হোসেন লিটন তার আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেছে এবং বউ আছে। এমতাবস্থায় গত ২০/০২/২০২২ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় তাহার স্বামী বেলায়েত হোসেন লিটন তার বিলাসপুর বাসায় গেলে প্রথম স্ত্রীর কথা জিজ্ঞাসা করলে বেলায়েত হোসেন লিটন অস্বীকার করে এবং ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তা রাণীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে বেলায়েত হোসেন লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তা রাণীকে এলোপাথারীভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। পরের দিন সকালে তার বাড়ি থেকে চলে আসে। তারপরগত ৫/২/২০২২ইং তারিখে মুক্তা রাণী তার স্বামীর বাড়ি দক্ষিণ সালনা এলাকায় গিয়ে তার ভরনপোষণ এবং খেঁাজ খবর না নেওয়ার কারণ কি জানতে চাইলে বেলায়েত হোসেন লিটন তার সহযোগী ইকবাল এবং মামাতো ভাই মাজহারুল ইসলাম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এ সময় মুক্তা রাণীর আত্মচিৎকার করলে এ সময় উল্লেখিত আসামীরা মুক্তা রাণীর গলায় চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে এবং মাজহারুল ইসলাম মুক্তা রাণীর তলপেটে লাথি মেরে জখম করে। এ সময় উল্লেখিত আসামীরা মুক্তা রাণীর নিকট ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে অন্যথায় তালাক দিয়ে দিবে বলে বিভিন্ন রকমের হুমকি ধমকি প্রদান করে। এদিকে মুক্তা রাণী এ প্রতিবেদককে জানান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আমার স্বামীর মামাতো ভাই আমাকে সামাজিক যোগাযোগ এর মেসেনঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম কুপ্রস্তাব দিতো। শুধু তাই নয় আমাকে বিভিন্ন রকম অশ্লীল ভিডিও পাঠাতো মাজহারুল ইসলাম। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাজহারুল ইসলাম আমার সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তার কুপ্রস্তাবে আমি রাজি থাকলে আমার সংসারে কোন রকম অশান্তি লাগতো না বলে তিনি জানান। মুক্তা রাণী আরো বলেন, আমার স্বামী বেলায়েত হোসেন লিটনের প্রথম স্ত্রীর সাথেও মাজহারুল ইসলামের অবৈধ পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানান।