ইপেপার । আজ সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

বিপদে ধৈর্য ধারণ মুমিনের কাজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪৯৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ভালো-মন্দ সব আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। তিনি যা ইচ্ছে করেন, তার ইশারা ছাড়া কিছুই হতে পারে না। আর তিনি মানুষের জন্য যখন যা নির্ধারণ করেন তা অবশ্যই তার জন্য মঙ্গলজনক, যদিও কিছুসময়ের জন্য বাহ্যিকভাবে তা কষ্টকর মনে হয়। মূলত এসব দিয়ে তিনি আমাদের ইমান ও ধৈর্যকে একটু যাচাই করতে চান। রাসুল (সা.) বলেছেন, বিপদ মসিবত যত বড় এর প্রতিদানও তত বড়। আর আল্লাহ পাক যখন কাউকে ভালোবাসেন তখন তাকে পরীক্ষা করেন। এ পরীক্ষায় যে খুশি থাকে তার জন্য আল্লাহ পাকও খুশি হয়ে যান, আর যে রাগান্বিত হয়, তার জন্য তিনিও রেগে যান। বিপদ-আপদ মানুষের জীবনের নিয়তি। কম-বেশি বিপদে পতিত হন না এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া যাবে না। মূলত আল্লাহ পাক এসব দিয়ে তার বান্দার ভেতরের ইমান পরীক্ষা করেন। বিপদাপদ শুধু আমাদের গোনাহগুলো মাফ হওয়ার কারণ নয়, বরং এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মর্যাদাও বৃদ্ধি হয়। পুণ্যের খাতায় যোগ হয় অনেক নেকি- যা হয়তো সাধারণভাবে আমল করে অর্জন সম্ভব হতো না। হাদিসে আছে, কোনো মুসলমানের যত সামান্য কষ্টই হোক না কেন, চাই তার পায়ে একটু কাঁটাও যদি লাগে এর চেয়েও বেশি কিছু হয়, এর বিনিময়েও আল্লাহ পাক তার গোনাহগুলোকে মাফ করে দেন যেভাবে গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ে। আরেক হাদিসে আছে, আল্লাহ যখন কোনো বান্দার ভালো চান তখন তাকে দুনিয়াতে কিছু কষ্ট দিয়ে দেন (যাতে পরকালে সে এসব থেকে মুক্ত থাকে) আর যার জন্য তিনি ভালো চান না তার থেকে সব বিপদাপদকে সরিয়ে রাখেন যাতে কিয়ামতের দিন এগুলো দিয়ে তাকে প্রতিদান দেয়া হয়। প্রখ্যাত তাবেয়ী হজরত হাসান বসরী (রহ.) বলতেন, বিপদাপদ ও মসিবতকে তোমরা অপছন্দ করো না, অনেক বিষয় যা তোমাদের অপছন্দ- তাতেই হয়তো তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে, আর কোনো বিষয় হয়তো তোমাদের কাছে ভালো মনে হচ্ছে অথচ এর মধ্যেই অকল্যাণ লুকিয়ে আছে। তাই জীবনে চলার পথে যে কোনো পর্যায়ে বিপদাপদ কিংবা অসহনীয় যে কোনো পরিস্থিতিতে পড়ে গেলে হা হুতাশ না করে বরং এ দুরবস্থায় আল্লাহমুখী হয়ে অবনত হওয়া প্রকৃত মুসলমানের কাজ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিপদে ধৈর্য ধারণ মুমিনের কাজ

আপলোড টাইম : ০৮:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: ভালো-মন্দ সব আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। তিনি যা ইচ্ছে করেন, তার ইশারা ছাড়া কিছুই হতে পারে না। আর তিনি মানুষের জন্য যখন যা নির্ধারণ করেন তা অবশ্যই তার জন্য মঙ্গলজনক, যদিও কিছুসময়ের জন্য বাহ্যিকভাবে তা কষ্টকর মনে হয়। মূলত এসব দিয়ে তিনি আমাদের ইমান ও ধৈর্যকে একটু যাচাই করতে চান। রাসুল (সা.) বলেছেন, বিপদ মসিবত যত বড় এর প্রতিদানও তত বড়। আর আল্লাহ পাক যখন কাউকে ভালোবাসেন তখন তাকে পরীক্ষা করেন। এ পরীক্ষায় যে খুশি থাকে তার জন্য আল্লাহ পাকও খুশি হয়ে যান, আর যে রাগান্বিত হয়, তার জন্য তিনিও রেগে যান। বিপদ-আপদ মানুষের জীবনের নিয়তি। কম-বেশি বিপদে পতিত হন না এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া যাবে না। মূলত আল্লাহ পাক এসব দিয়ে তার বান্দার ভেতরের ইমান পরীক্ষা করেন। বিপদাপদ শুধু আমাদের গোনাহগুলো মাফ হওয়ার কারণ নয়, বরং এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মর্যাদাও বৃদ্ধি হয়। পুণ্যের খাতায় যোগ হয় অনেক নেকি- যা হয়তো সাধারণভাবে আমল করে অর্জন সম্ভব হতো না। হাদিসে আছে, কোনো মুসলমানের যত সামান্য কষ্টই হোক না কেন, চাই তার পায়ে একটু কাঁটাও যদি লাগে এর চেয়েও বেশি কিছু হয়, এর বিনিময়েও আল্লাহ পাক তার গোনাহগুলোকে মাফ করে দেন যেভাবে গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ে। আরেক হাদিসে আছে, আল্লাহ যখন কোনো বান্দার ভালো চান তখন তাকে দুনিয়াতে কিছু কষ্ট দিয়ে দেন (যাতে পরকালে সে এসব থেকে মুক্ত থাকে) আর যার জন্য তিনি ভালো চান না তার থেকে সব বিপদাপদকে সরিয়ে রাখেন যাতে কিয়ামতের দিন এগুলো দিয়ে তাকে প্রতিদান দেয়া হয়। প্রখ্যাত তাবেয়ী হজরত হাসান বসরী (রহ.) বলতেন, বিপদাপদ ও মসিবতকে তোমরা অপছন্দ করো না, অনেক বিষয় যা তোমাদের অপছন্দ- তাতেই হয়তো তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে, আর কোনো বিষয় হয়তো তোমাদের কাছে ভালো মনে হচ্ছে অথচ এর মধ্যেই অকল্যাণ লুকিয়ে আছে। তাই জীবনে চলার পথে যে কোনো পর্যায়ে বিপদাপদ কিংবা অসহনীয় যে কোনো পরিস্থিতিতে পড়ে গেলে হা হুতাশ না করে বরং এ দুরবস্থায় আল্লাহমুখী হয়ে অবনত হওয়া প্রকৃত মুসলমানের কাজ।