বিধবা নারীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত!

চুয়াডাঙ্গার গাইদঘাটে ভাগের ধান চাওয়ায় ক্ষেপলেন ভদা মিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক:চুয়াডাঙ্গার গাইদঘাটে এক মৌসুমের জন্য চাষ করতে দেওয়া জমির ধানের ভাগ চাওয়ায় ইসনারা বেগম (৩৫) নামের এক অসহায় বিধবা নারীকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাইদঘাট গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আহত ইসনারা বেগমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়ডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত ইসনারা বেগম গাইদঘাট গ্রামের মৃত রতন আলীর স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ইসনারা বেগম গাইদঘাট গ্রামের মাঠে ২২ কাঠা জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে থাকেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি ১ বছরের বেশী সময় ধরে ঠিক মতো কাজ করতে পারেন না। যে কারণে গত মৌসুমে উক্ত ২২ কাঠা জমি একই এলাকার আসাদ আলীর নাতি ভদা মিয়ার (২৫) নিকট এক মৌসুমের জন্য মৌখিক চুক্তিতে ধান চাষ করতে দেন। চুক্তিতে বলা হয় ২২ কাটা জমিতে যে পরিমান ধান হবে তার থেকে ৫ মণ ধান ইসনারা বেগমকে দিতে হবে। ভদা মিয়া এই চুক্তিতে ইসনারার লিজ নেওয়া জমিতে ধান চাষ করেন। কিছুদিন পূর্বে ধান পাকলে ভদা মিয়া ঐ জমির ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যায়। গত রোববার ভদা মিয়া তিন মণেরও কম ধান রেখে সমস্ত ধান বিক্রি করে দেয়। ধান বিক্রির খবর জানতে পেরে গতকাল সকালে ইসনারা বেগম তাঁর বাড়িতে যেয়ে ধানের ভাগ চান। ভদা মিয়া এ সময় ইসনারা বেগমের অসহায়ত্বের সুযোগে ধান দেওয়া নিয়ে ধানায়-পানায় শুরু করলে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে ভদা মিয়া একটি বাঁশ দিয়ে ইসনারা বেগমকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় ইসনারা বেগম ভদা মিয়ার উঠান থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, ‘তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রেখেছি।’
চুয়ডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত আহতের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’