বিদ্যালয়ে না গিয়েও বেতন-ভাতা নেন প্রধান শিক্ষক!

জীবননগর অফিস:

প্রায় সাত মাস স্কুলে না গিয়েও নিয়মিত বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে জীবননগরের পুরাতন তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা পারভীনের বিরুদ্ধে।

 

সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের জুনে যোগদান করেন শিরিনা পারভীন। ২০২২ সালের শেষের দিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করেন তিনি। এদিকে নিজের স্থানে নামমাত্র বেতন দিয়ে তেঁতুলিয়া গ্রামের রোমানা নামের একজনকে স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আর সপ্তাহে একদিন এসে হাজিরা খাতায় পুরো সপ্তাহের স্বাক্ষর করেন শিরিনা পারভীন। স্কুল প্রধানের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হলো প্রধান শিক্ষক। সেই প্রধান শিক্ষক ঠিকমতো বিদ্যালয়ে আসেন না। বিদ্যালয়ে আসার কথা বললেই তিনি বলেন শারীরিকভাবে অসুস্থ। এ কারণে তিনি বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না। তবে তিনি কোনো ছুটিও নেননি। তিনি একজন মেয়েকে স্কুলে দিয়ে গেছেন, সেই মেয়ে এই স্কুলে ক্লাস নেন। তবে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে না এসেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।’

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শিরিনা পারভীনের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর স্বামী বলেন, ‘শিরিনা পারভীন শারীরিকভাবে খ্বু অসুস্থ। সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। আর তার চাকরির মেয়াদকাল প্রায় শেষ। বিষয়টা আমরা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।’

জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি আগে জানতাম না। তবে কোনো শিক্ষক স্কুলে না যেয়ে বেতন নিতে পারবে না। অন্য কাউকে সে তার পরিবর্তে নিয়োগ দিতে পারবে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’