বিদেশ যাওয়া ৯০ ভাগ পুরুষ দুর্নীতির শিকার
- আপলোড টাইম : ০৪:৪২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭
- / ৩০৪ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাওয়া পুরুষ কর্মীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ দুর্নীতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে করে বাংলাদেশের ‘শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসন: সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের বিভিন্ন দিক গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে টিআইবি। এ গবেষণা করতে টিআইবি সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, রিক্রুটিং এজেন্ট, দালাল, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যপরীক্ষা কেন্দ্রসহ বিদেশ গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, ওমান, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ থেকে মোট পুরুষ কর্মী গেছে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৭৬৯ জন, যার ৯০ ভাগই দুর্নীতির শিকার। গবেষণায় উঠে এসেছে, বিদেশ গমনেচ্ছুদের পুলিশি ছাড়পত্র পেতে প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত অর্থ দিতে হয়। এই ছাড়পত্র সংগ্রহের জন্য জনপ্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিনামূল্যে নারী কর্মী পাঠানোর নিয়ম থাকলেও দালালরা জনপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা আদায় করে। শ্রম অভিবাসন খাতে বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে দাবি করে সংস্থাটি জানায়, এ জন্য বিদেশ গমনেচ্ছুদের ভোগান্তি শিকার হতে হয়। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ডাটাবেইজে বায়োমেট্রিক পরিচয় দিতে একজন কর্মীকে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। বিদেশে কর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটি দালাল নির্ভর আখ্যা দিয়ে টিআইবি পরিচালক ইফতেখরুজ্জামান বলেন, ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্টদের যেমন দায়বদ্ধতার মধ্যে আনা হয়, এ খাতেও সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। তবে শ্রম অভিবাসন খাতে সুশাসন আনতে সরকারের প্রবল প্রচেষ্টা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।