
সমীকরণ ডেস্ক: বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অগ্রহণযোগ্য এবং এক-এগারোর সময়ে যাদের বিতর্কিত ভূমিকা ছিল তাদেরকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেওয়ায় তিনি বুধবার দুপুরে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তার পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। কাজী সলিমুল হক কামাল স্বাক্ষরিত দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রের কপি বুধবার দুপুরে মাগুরায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। লিখিত পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করছেন, ‘দলের নির্বাহী কমিটি দেখে আমি মর্মাহত। এমন একজনকে দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে যে ঐ পদের জন্য কোনোভাবেই উপযুক্ত নয়। ওয়ান ইলেভেনের সময় তার ভূমিকা প্রশ্নবোধক। তারপর তাকে মাগুরা জেলা আহ্বায়ক করা হয়। মাগুরা জেলা আহ্বায়ক হবার পর থেকে দলের ভেতর অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই আছে। ত্যাগী লোকদের সে কোনো মূল্যায়ন করে না।’ পদত্যাগপত্রে কাজি সালিমুল হক কামাল কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া আরেক নেতা মাগুরা জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর নাম উল্লেখ না করেই তার বিষয়ে অনাস্থা এনেছেন। এ বিষয় নিয়ে সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তার পদত্যাগের বিষয়ে আমার কোনো উৎসাহ নেই। সে বিএনপির রাজনীতি করে না। বিএনপির সুবিধার সময়ে দলে এসেছিল। আবার বেকায়দা দেখে দল থেকে সরে গিয়েছে। এটি নিয়ে ভাববার কোনো কারণ নেই।’ অন্যদিকে জেলা বিএনপির বিগত কমিটির আরেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসান হাবিব কিশোরসহ আরো অনেকেই কাজি সালিমুল হক কামালের পদত্যাগপত্রে উল্লেখিত কারণগুলোকে যৌক্তিক বলে দাবি করেছেন।