সমীকরণ প্রতিবেদন: দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে তা চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এদিন চুয়াডাঙ্গাসহ সারদেশের জেলা বারগুলোতেও একই সময়ে ভোট গ্রহণ করা হয়। বার কাউন্সিলের ১৪ জন সদস্য নির্বাচনে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির ভবন এবং দেশের সব জেলা সদরের দেওয়ানী আদালত প্রাঙ্গণে একটি করে ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে সাধারণ ৭টি পদে এবং গ্রুপভিত্তিক ৭টি অঞ্চলে আইনজীবী সমিতির মধ্যে থেকে একজন করে সাতটি পদে তিন বছরের জন্য নির্বাচন হয়ে থাকে। সাধারণ পদে ৩৫ ও গ্রুপ ভিত্তিক পদে প্রার্থী ২৩ জন। ভোটার প্রায় ৫২ হাজার। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা বারে ভোটের ব্যালট বরাদ্দ ছিল ২৫০টি। গ্রুপভিত্তিক সদস্য নির্বাচনে ভোট দেন ১৮২ জন। রাজশাহী আইনজীবী সমিতির অ্যাড. মো. একরামুল হক (আ.লীগ) ও অ্যাড. মঈনুল আহসান (বিএনপি) উভয়েই সমান সংখ্যক ৭৭টি ভোট পান।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সাধারণ আসনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত)। এদের মধ্যে অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস কাজল (বিএনপি) ১০১ ভোট, মাহবুব উদ্দিন খোকন (বিএনপি) ৯৮, জয়নুল আবেদীন (বিএনপি) ৮৯ ও এ কে মোহাম্মদ আলী (বিএনপি) ৮৬ ভোট পেয়েছেন। অপর দিকে, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল হিসেবে পরিচিত)-এর প্রার্থী মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বাদল (আ.লীগ) ৯১ ভোট, মোহাম্মদ সাঈদ আহম্মেদ রাজা (আ.লী) ৮৩ ও সৈয়দ রেজাউর রহমান (আ.লীগ) ৯৭ ভোট পেয়েছেন।
সারাদেশের ভোট গণনা শেষে আগামী ২৯ মে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে। প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী দুই বছর (২০২২-২৪) মেয়াদে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন।