সমীকরণ ডেস্ক: আসাম থেকে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল ও এলপিজি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের আংশিক সড়কপথ ভারতকে ব্যবহারের সাময়িক অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরার প্রতি মানবিক কারণেই এ অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ওই সড়ক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বাবদ নির্ধারিত ফি দিতে রাজি হয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দু’দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ত্রিপুরার জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন এবং সর্বোপরি মানবিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভারতীয় জ্বালানি তেলবাহী ট্রাক-লরি ত্রিপুরায় সাময়িকভাবে (আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। সম্প্রতি ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ভূমিধসের কারণে আসাম থেকে ত্রিপুরাগামী সড়কপথ (এনএইচ-৪৪) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ত্রিপুরার সঙ্গে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের যোগযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট দেখা দেয়ায় সাধারণ ত্রিপুরাবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। জ্বালানির অভাবে ত্রিপুরার পরিবহন ক্ষেত্রেও দুরবস্থা বিরাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ অবস্থা নিরসনে ও মানবিক কারণে আসাম থেকে বাংলাদেশের আংশিক সড়কপথ ব্যবহার করে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল ও এলপিজি পরিবহনের জন্য ভারত বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে। ভারতের প্রস্তাব অনুসারে, ভারতীয় জ্বালানিবাহী ট্রাক বাংলাদেশে তামাবিল সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে প্রবেশ করে সিলেট ও মৌলভীবাজারের প্রায় ১৪০ কিমি পথ অতিক্রম করে মৌলভীবাজার জেলার চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে বের হয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে। ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পর খালি যানবাহনগুলো বাংলাদেশের চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে পুনঃপ্রবেশ করে একই পথ ব্যবহার করে ভারতে ফিরে যাবে।
বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং ভারতের পক্ষে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) নির্বাহী পরিচালক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ও আইওসিএলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।