খেলাধুলা প্রতিবেদন
বাংলাদেশকে পেস বোলিং দিয়ে আটকানোর ছক কষছে শ্রীলঙ্কা। এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ও জাতীয় দলের ম্যানেজার আশান্থা ডি মেল। টাইগার ব্যাটসম্যানদের স্পিনে পারদর্শিতা অজানা নয় লঙ্কানদের। বাংলাদেশ দলেও রয়েছে বিশ্বমানের স্পিনার। ফেরার কথা রয়েছে সাকিব আল হাসানেরও। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুতগতির উইকেট বানানোর ইঙ্গিত আশান্থা ডি মেলের। লঙ্কান সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে গতিতে পরাস্ত করতে চাই। আমাদের পেস আক্রমণও শক্তিশালী। বাংলাদেশ স্পিনে ভালো। আর তাদের দুর্দান্ত কয়েকজন স্পিনারও রয়েছে।’ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেল্লে স্টেডিয়ামে। সেখানকার আবহাওয়া ও উইকেট সাধারণত পেস সহায়ক। স্কোয়াডে পাঁচজন পেসার রাখার ভাবনা স্বাগতিকদের। ডি মেল বলেন, ‘স্কোয়াডে পাঁচজন পেসার রাখার বিষয়ে ভাবছেন নির্বাচকরা এবং সেটার সম্ভাবনাই বেশি।’ ৩০ জন ক্রিকেটার নিয়ে আগামী ২৭শে আগস্ট শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এরপর সেখানে নিজেদের মধ্যে ৪ থেকে ৬ই অক্টোবর প্রথম ও ১০-১২ই অক্টোবর দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন মুমিনুল-মুশফিকরা। ১৭-১৯শে অক্টোবর নিজেদের মধ্যে চারদিনের আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। আগামী ২৩শে অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৩১শে অক্টোবর। তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৮ই নভেম্বর, কলম্বোতে। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের টেস্ট পরিসংখ্যান খুব উজ্জ্বল নয়। ২০ টেস্টের ১৬টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সেখানে সুখস্মৃতিও রয়েছে টাইগারদের। ২০১৭ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষটিতে ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল টাইগাররা। ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের শততম টেস্ট। দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ওটাই একমাত্র টেস্ট জয় বাংলাদেশের। বাংলাদেশি কোনো ব্রাটসম্রানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সাক্ষীও শ্রীলঙ্কা। ২০১৩’র গল টেস্টে ব্যাট হাতে কাঁটায় কাঁটায় ২০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহীম। পঞ্চম উইকেটে ২৬৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। দৈর্যশীল ইনিংসে ১০ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করে আশরাফুল (৪১৭ বলে ১৯০)।