বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান
- আপলোড টাইম : ০৩:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে
ফেনী জেলার পরশুরামে বন্যাকবলিত এলাকা গতকাল শুক্রবার পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার—উজ—জামান। পরিদর্শনকালে তিনি কুমিল্লা সেনানিবাসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। এরপর তিনি হেলিকপটারযোগে ফেনী জেলার পরশুরাম এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তিনি উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার—ইন—চিফ, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়াসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ১৭, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ যথাক্রমে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এলাকায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েনরত সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই সঙ্গে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিত্সাসেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সেনা ও নৌবাহিনীর এক দিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে :
সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সকল পদবির সদস্যদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছে। সাম্প্রতিক ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জে চলমান ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবতার সেবায় এ অর্থ প্রদান করা হয়।
খাগড়াছড়িতে বন্যার্ত অসহায় মানুষের পাশে সেনাবাহিনী :
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা। এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদনদীর পানি বিপত্সীমার দুই থেকে ছয় ফিট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। দিনভর উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার খাগড়াছড়িবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনা খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।—আইএসপিআর