ফের নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
- আপলোড টাইম : ০৩:৪২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদন:
বিশ্বজুড়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, শ্রমিক অধিকারের পক্ষের কর্মী এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যে বা যারা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করবে তাদের জবাবদিহিতায় নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নীতি ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণার সময় একমাত্র বাংলাদেশের নামই এসেছে। ঘোষণার সময় ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষকে জোর করে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয় সেখান থেকে তারা কোনো পণ্য আমদানি করবেন না। বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মানোন্নয়ন নিয়ে ১৬ নভেম্বর একটি নতুন মেমোরেন্ডাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্মারকলিপি প্রকাশের পর এ নিয়ে গতকাল ব্রিফিং করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন তাঁর বক্তব্যে কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশের এক গার্মেন্ট শ্রমিক ও নেত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, যেখানে কল্পনা আক্তারের মতো শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন হবে সেখানেই যাবেন তারা এবং শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং বাণিজ্য শাস্তি আরোপ করবে। এ ব্যাপারে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে নতুন স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি শুধু একটি অভ্যন্তরীণ ইস্যু নয়। এটি আমাদের জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপার, বৈদেশিক নীতির ব্যাপার। বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ নিয়ে পাঁচ লাইন বলব। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষায় আমরা সরকার, শ্রমিক, শ্রমিকদের সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সমাজের বিশেষ ব্যক্তি এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্ত হব। যার অর্থ আমাদের সব রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসে কাজ করা সব কর্মী শ্রমিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে। যেন আমরা যা করি সেখানে তাদের কথার প্রতিফলন হয়।
দ্বিতীয়ত, যারা ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারকর্মী, শ্রম সংগঠনকে হুমকি দেয় তাদের জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনব। এজন্য আমাদের কাছে যা আছে যেমন নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য পেনাল্টি, ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব। আমরা বাংলাদেশি গার্মেন্টকর্মী কল্পনা আক্তারের মতো মানুষের কাছে যাব। যে কল্পনা জানিয়েছেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তার পক্ষে থাকায় তিনি বেঁচে আছেন। যখন আমরা আমাদের ভাষাকে ব্যবহার করি, যখন বিশ্বব্যাপী আমরা কাজ করি তখন আমরা শ্রম অধিকার নিশ্চিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষে জানিয়েছেন, যেসব জায়গায় সাধারণ মানুষকে জোর করে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়, সেখান থেকে তাঁরা কোনো পণ্য আমদানি করবেন না। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বৃহস্পতিবার প্রথমবার প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন। এতে বিশ্বজুড়ে শ্রমিক অধিকারের প্রতি তাঁর প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও এজেন্সিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো হলো গণতন্ত্রের মূল রক্ষক।