চুয়াডাঙ্গা বুধবার , ২০ জুলাই ২০২২

ফুরিয়ে যাচ্ছে গ্যাসের মজুদ

নিউজ রুমঃ
জুলাই ২০, ২০২২ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সমীকরণ প্রতিবেদন: দেশে মজুদ গ্যাসের পরিমাণ প্রতিদিনই কমছে। বিশ্বের জ্বালানি বাজারও পার করছে চরম অস্থিরতায়। জ্বালানি সঙ্কটে বন্ধ রয়েছে দেশের অনেকগুলো বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন। ফলে দেশজুড়ে আবারও শুরু হয়েছে লোডশেডিং। ফুরাচ্ছে দেশের মজুদ গ্যাসও। তারপরও প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা। যদিও প্রায় দুই দশক আগে সরকার নিজেই পরিবহনে সিএনজিকে উৎসাহিত করেছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া জ্বালানি সঙ্কট মোকাবেলায় যানবাহনে সিএনজি ব্যবহার বন্ধ করার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে প্রাইভেটকার, বড় বড় বাস, লঞ্চেও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ব্যবহার হচ্ছে সিএনজি। এমতাবস্থায় এখনই এর ব্যবহার বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে জ্বালানির সঙ্কট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচতে দেশের গণপরিবহনে সঙ্কুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ব্যবহার শুরু হয় প্রায় দুই দশক আগে। তৎকালীন সরকার গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুদকে ভিত্তি ধরে এবং পরিবেশের কথা চিন্তা করে পরিবহন ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধও করেছিল গাড়িতে সিএনজি ব্যবহারের। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে প্রতিদিনই বাড়ছে সিএনজি চালিত যানবাহনের ব্যবহার। জার্মানভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের বাংলা সংস্করণের প্রতিবেদনে বিআরটিএর বরাত দিয়ে দাবি করা হয়েছে, ঢাকায় ৯৫ শতাংশ বাসই এখন সিএনজিচালিত।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার ভেতরে মোট বাস ১২ হাজার ৫২৬টি। তার মধ্যে গ্যাসে চলে ১১ হজার ৯০০টি। ডিজেলে চলে ৬২৬টি। ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস মোট ১৬ হাজার। তার মধ্যে গ্যাসে চলে ১১ হাজার ২০০টি। ডিজেলে চলে চার হাজার ৮০০টি। সারাদেশে মোট বাস ৭৮ হাজার। তার মধ্যে গ্যাসে চলে ৪৬ হাজার ৮০০টি। ডিজেলে চলে ৩১ হাজার ২০০টি। তবে বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকাসহ সারাদেশে এখন ডিজেল ও সিএনজিতে কত বাস চলছে, সে বিষয়ে কোন পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই। ২০০৮ সালে এ বিষয়ে পরিসংখ্যান তৈরির একটি উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি বাস্তবায়ন করা যায়নি।
বিআরটিএ’র পরিচালক (সেফটি এ্যান্ড সিকিউরিটি) মাহবুব ই রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ডেটাবেজে এ তথ্যগুলো নেই। কোন্ কোন্ কোম্পানির বাস গ্যাসে চলে সেই ডেটাবেজও নেই। ফুয়েলের ওপর নির্ভর করে আমাদের কোন ডেটাবেজ এখন পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি।
এদিকে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকায় বর্তমানে যত বাস চলাচল করে তার ৯৫ শতাংশই জ্বালানি হিসেবে সিএনজি ব্যবহার করে। ডিজেলে চলে মাত্র পাঁচ শতাংশ বাস। সারাদেশেও শতাংশের এই হারটি প্রায় একই। তবে বিআরটিএ থেকে শুরু করে পরিবহন খাত নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন পক্ষ, এমনকি মালিক সমিতি কারও কাছেই এ সংক্রান্ত কোন পরিসংখ্যান নেই।
তবে ২০১০ সালে বুয়েট একটি গবেষণা করেছিল, সেখানে দেখা গেছে ৭০ শতাংশ গাড়ি সিএনজিতে চলে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক হাদিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ২০১০ সালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সার্ভে করে দেখা হয়েছিল। তখন ৭০ শতাংশ গাড়ি সিএনজিচালিত তথ্য পাওয়া গেছে। এরপরে ২০১৯ সালে আরেকটি গবেষণা করা হয়। কিন্তু সেখানে আমরা অল্প স্যাম্পল নিয়েছিলাম। সেটাকেই অনেকে ভুল করে ৮০ ভাগ মনে করছে। প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। ২০১০ সালে দেখেছি ৮২ ভাগ, ২০১৬ সালে এসে সেটা ৯০ ভাগে উন্নীত হয়েছে।
তার মানে সবকিছুই বাড়তির দিকে। সেই হিসাবে অনুমান করা হচ্ছে সিএনজিচালিত গণপরিবহনও ৯০ ভাগের বেশি। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এখন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাস ও মিনিবাস চলাচল করে। সাড়ে ১২ হাজারের মতো অনুমোদিত বাস আছে, যা ঢাকা শহরে চলতে পারবে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার চলছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির জন্য চলছে হাহাকার। উচ্চমূল্যে জ্বালানি ক্রয় করতে হচ্ছে সরকারকে। দেশের মজুদ গ্যাসও ফুরাচ্ছে দিন দিন। মজুদ গ্যাসের বিষয়ে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাতীয় সংসদে বলেন, দেশে বর্তমানে ২০২০ পর্যন্ত ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে। বর্তমানে দৈনিক দুই হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এ হারে উৎপাদন অব্যাহত থাকলে মজুদ গ্যাস আর ১১ বছর ব্যবহার করা যাবে। প্রতিমন্ত্রীর হিসাব মতে, ২০৩১ সালে মজুদ গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। তাই দেশজুড়ে জ্বালানি সঙ্কটকালীন সময়ে সিএনজি চালিত যানবাহনে নিয়ন্ত্রণের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে নসরুল হামিদ জনকণ্ঠকে বলেন, সিএনজি মালিকরা সবচেয়ে বেশি দামে গ্যাস কিনছে সরকারের কাছ থেকে।
মোট গ্যাসের মাত্র ৩.১ শতাংশ সিএনজিতে রূপান্তরিত হলেও এটি পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী। আপনারা যারা দুই দশক আগের ঢাকা দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ওই সময় ঢাকা শহরে গাড়িগুলোতে যে পরিমাণ তেল ব্যবহার হতো তাতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছিল খুব। অন্যদিকে পরিবহনের তেল সরবরাহের কারণে তেলের আমদানিও বেশি করতে হচ্ছিল। এই তেল আমদানি সাশ্রয় এবং পরিবেশ দূষণ রোধ করতেই সিএনজি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় সরকার। এতদিন সিএনজি ব্যবহার না হলে ঢাকা শহরের বায়ুর দূষণ বেড়ে যেত কয়েকগুণ। তখন এটি নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হতো। তাই আপাতত পরিবহনে সিএনজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের কথা চিন্তা করা হচ্ছে না। বরং সার্বিকভাবে জ্বালানি সাশ্রয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। অপ্রয়োজনীয় গ্যাস, বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। রাত ৮টার পর দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে না। অফিস-আদালত এমনকি উপাসনালয়েও বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। তাহলেই সবাই মিলে আমরা এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে পারব।
কিন্তু শুধু দেশ নয় সারাবিশ্বেও যখন জ্বালানির সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে তখন শুধুমাত্র পরিবহন খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের এমন অপচয় কোনভাবেই ঠিক নয় উল্লেখ করে কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, পরিবেশ দূষণের কথা চিন্তা করলে গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার করাই উচিত। তবে তা করতে হবে গাড়িতে সিলিন্ডারের মান ঠিক রাখাসহ অন্য সব বিষয় নিয়ন্ত্রণে রেখে। যা অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। গত শতকের ’৮০ এবং ’৯০-এর দশকে ঢাকার জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তখন গণপরিবহনের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ে। এই সুযোগে রাজধানী ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে টু-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার।
জ্বালানি তেলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ মোবিল ব্যবহার করে চলত এই ত্রি-চক্রযানে। এর ধোঁয়ায় গোটা শহর আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সাধারণ মানুষ, সরকার, পরিবেশবিদ এবং প্রকৌশলীরা এর বিকল্প খুঁজছিলেন। পরিবহনে জ্বালানি খরচ বাঁচানোর চেয়ে পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্তি মিলবে এমন চিন্তা থেকে গাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাস রূপান্তর করে ব্যবহার শুরু হয়। শুরুতে থ্রি-হুইলারে সিএনজি ব্যবহার শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে বাস, ট্রাকসহ ব্যক্তিগত গাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, কিন্তু তখনকার প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তখন মনে করা হতো দেশে বিপুল পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে। এই গ্যাসের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা গেলে দেশ লাভবান হবে।
গাড়িতে নিজেদের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এখন সরকারকে তেলের মতোই এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজার অস্থির। এমন অবস্থায় বেপরোয়াভাবে পরিবহনখাতে সিএনজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করাই উচিত বলে আমি মনে করি।
তৎকালীন সময়ে তেল আমদানি সাশ্রয় এবং পরিবেশ দূষণ রোধ করতে সিএনজি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় সরকার। এতদিন সিএনজি ব্যবহার না হলে ঢাকা শহরের বায়ুর দূষণ বেড়ে যেত কয়েকগুণ। তখন এটি নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হতো। তাই আপাতত পরিবহনে সিএনজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের কথা চিন্তা করা হচ্ছে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্ট ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, সাম্প্রতিক সঙ্কট কাটাতে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। অফিস সময়সূচী পরিবর্তনসহ দোকান-পাট সন্ধ্যাকালীন সময়েই বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হতে পারে। শুধু তাই নয় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জাসহ বাসাবাড়িতেও গ্যাস-বিদ্যুতের ব্যবহার সাশ্রয়ে আমরা নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। যা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই নির্ধারণ করে দেবেন। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আশা করি চলমান সঙ্কট আমরা মোকাবেল করতে পারবই।
করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে অস্থির তেলের বাজার। গত নবেম্বর থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে দেড়গুণের বেশি। আর এর ফলে তেল কিনতে গিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) প্রতিদিনই প্রায় শতকোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া সাশ্রয়ী নীতিতে জ্বালানি সঙ্কট আপাতত: কাটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম এখন দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা জারির পর তেলের দাম আবার বাড়ে আবারও। গত সোমবার রাতে ব্রাসেলসে একটি সম্মেলনে সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেল পরিবহনের ওপর সর্বসম্মত নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইইউর দেশগুলো। এ নিয়ে চুক্তিও করে ইইউর নেতারা।
তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ তেল ইউরোপে রফতানির পথ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, রাশিয়ার তেলের দুই-তৃতীয়াংশ সমুদ্রপথেই ইউরোপে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির পরই বিশ্ববাজারে বাড়তে থাকে তেলের দাম।
এর আগে গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার তেল সরবরাহের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনার খবরে তেলের দাম ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে। গত ৭ মার্চ বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, এশিয়ার বাজারে অপরিশোধিত তেলের ( ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল) দাম প্রতি ব্যারেলে ১৩৯ ডলারের ওপরে উঠে যায়। পরে ১৩০ এ নামে।
এর আগে গত বছরের ৩ নবেম্বর লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানো হয় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয় ওই সময়। তখন দাম বাড়ানোর বিষয়ে জ্বালানি বিভাগ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম উর্ধগতির কারণে ভারতসহ বিশ্বের অন্য দেশ তেলের দাম সমন্বয় করছে। গত ১ নবেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য লিটার প্রতি ১২৪ দশমিক ৪১ টাকা বা ১০১ দশমিক ৫৬ রুপী ছিল।
আর বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ ৫৯ দশমিক ৪১ টাকা কম। ক্রয় মূল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ডিজেলে লিটার প্রতি ১৩ দশমিক ০১ টাকা কমে বিক্রি করছে। অপরদিকে ফার্নেস অয়েল বিক্রি করছে লিটার প্রতি ৬ দশমিক ২১ টাকা কমে। এতে করে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে বিপিসি। ওই বছরের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বর্তমান দামে সরবরাহ করায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মোট ৭২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয়। এই প্রেক্ষাপটে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম পুনর্র্নিধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে দাবি করা হয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।