ফলোআপ : ঝিনাইদহের মধুহাটীতে যৌতুকের দাবিতে দফায় দফায় নির্যাতন যৌতুক লোভী অত্যাচারী স্বামী ফজলুর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

ডাকবাংলা প্রতিনিধি: যৌতুকলোভী স্বামীর অত্যাচারের শিকার তিন সন্তানের জননী স্ত্রী ময়না খাতুন অবশেষে আইনের প্রতি শ্রোদ্ধাশীল হয়ে স্বামী ফজলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্ত তাতেই বা কি আসে যায়। শাররীক, মানুষিক ও যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্ত্রী ময়নার দায়েরকৃত মামলার ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও উত্তর শূন্য। প্রাপ্ত তথ্য সুত্রে জানা যায়, গত ১৭/১৮ বছর পূর্বে ঝিনাইদহ সদরের ২ নং মধুহাটী ইউনিয়নের মামুনশিয়া গ্রামের সোবহান ব্যাপারীর ছেলে ফজলুর রহমান (৪৫)-র সঙ্গে একই সদরের ৩ নং সাগান্না ইউনিয়নের নাথকুন্ডু গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর মেয়ে ময়না খাতুন (৩৬)-র বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই এ যাবত কাল যৌতুকের দাবীতে স্বামী ফজলু স্ত্রী ময়নার উপর বিভিন্ন প্রকার শাররীক ও মানুষিক অত্যাচার চালিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে গত ৬ আগষ্ট স্ত্রী ময়না খাতুন কে স্বামী সহ পরিবারের লোকজন টাকার দাবীতে অত্যাচার নিপিড়ন চালিয়ে ৩ বছরের ছোট মেয়ে ফারজানা কে সহ পাঠিয়ে দেয় পিতার বাড়িতে। ময়না খাতুন কোন হালে পিতার বাড়িতে এসে ভাই জহিরুলের সহযোগিতাই সেদিন-ই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ময়না-র পিতা পরিবারের পক্ষ থেকে এ যাবত ৩ লক্ষ টাকা দিলেও যৌতুকের দাবী পরিশোধ হয়নি স্বামী ফজলুর। ময়নার রয়েছে দু‘ই মেয়ে এক ছেলে। একমাত্র যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ফজলু গ্রামের এক গৃহ বধূকে প্রথম স্ত্রী ময়নার মতামতকে উপেক্ষা করে গত ৫/৬ মাস আগে গোপনে বিয়ে করে। শুরু হয় যৌতুক সহ নতুন করে আরো একটি মানুষিক পাশবিক যন্ত্রনা। এরই ধারাবাহিকতাই গত ৬ আগষ্ট স্বামী সহ স্বামী পরিবারের লোকজনের নিকট অত্যাচারের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন, যার নং ০৮/২০১৬ ইং। যা ৯ আগষ্ট চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রথম পাতায় ঝিনাইদহের মধুহাটী মামুনশিয়ায় যৌতুকের দাবিতে দফায় দফায় নির্যাতন যৌতুক লোভী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে স্ত্রী এখন বিপাকে শিরনামে খবর প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় ১/ মোঃ ফজলুর রহমান, ২/ মোছাঃ কহিনূর খাতুন, উভয় পিং মোঃ সোবহান ব্যাপারী, ৩/ মোঃ সোবহান ব্যাপারী, পিং মৃত মমিন ব্যাপারী ৪/ মোছাঃ রাবেয়া বেগম, স্বামী মোঃ সোবহান ব্যাপরী, ৫/ মোছাঃ হাজেরা খাতুন, স্বামী মোঃ ফজলুর রহমান কে আসামী করলেও এ যাবত ৫ আসামীর মধ্যে কোন আসামীই গ্রেফতার হয়নি। এ ঘটনায় যৌতুক অত্যাচারের শিকার ময়নার ভাই জহিরুল জানান, এ সব নিয়ে অতিতে গ্রাম্যভাবে একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে। দফায় দফায় অনেক টাকাও দিয়েছি কিন্ত তার পরও থেমে নেই যৌতুকের দাবী ও অত্যাচার। এ বিষয়ে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজার গোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই সানজিদ আহাম্মেদ জানান, ঘটনার তদন্ত অব্যহত রয়েছে। অচিরেই প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।