লকডাউনে প্রশাসনের তৎপরতার কমতি নেই, সাধারণ মানুষের মধ্যে মানার প্রবণতা কম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লকডাউনে প্রশাসনের তৎপরতার কমতি নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় গতকাল সোমবারও জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি দোকান, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদিনই এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। তবুও সাধারণ মানুষ যেন লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি কোনোটিই মানতে চাচ্ছেন না।
লকডাউন যেমন নামমাত্র, তেমনি স্বাস্থ্যবিধি এখন শুধু মুখের কথায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ঠিক তার উল্টোভাবে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা এবছর অনেক কম। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে চুয়াডাঙ্গা শহরে। শহরের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে লকডাউন চলছে। প্রচুর মানুষ রাস্তায়। জরুরি প্রয়োজন হোক আর নাই বা হোক, সাধারণ মানুষ বাইরে বোরোবেই। লকডাউনের মধ্যেও কেনাকাটা থেমে নেই অনেকের। যেটার স্পষ্ট চিত্র দেখা যাবে বড় বাজার বড় গলিতে। বড় বাজারে বড় গলির মধ্যে দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা দোকানের সামনেই বসে থাকছেন। ক্রেতা আসলে দোকানের শার্টার উঠিয়ে চলছে পণ্য কেনাবেচা। আজব বিষয় লকডাউনের মধ্যেও ক্রেতা আসছেন এবং কিনছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন, জনসমাবেশ বন্ধ করা, বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী ১০টি মোবাইল কোর্টে ২৬টি মামলায় ২৮ জনের কাছ থেকে ৮ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রশাসনের এতো তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের নির্দেশনা না মানার প্রবণতা অনেক বেশি। এখন প্রয়োজন সচেতন নাগরিকের মতো সরকারি নির্দেশনা মানা।
