নিজস্ব প্রতিবেদক:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে, কৃষি জমির মারাক্তক ক্ষতিসাধন করে, গ্রামের সহজ সরল মানুষের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে, মাঠের মাটি কেটে, পাশ্ববর্তী ইটভাটা মালিকের যোগসাজসে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামের কোমলমতী ছেলে মেয়েরা নিরাপদভাবে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। ট্রাক্টরের বিকট শব্দে বাচ্চাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামের রাস্তাঘাট অস্বাভাবিকভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে। অন্যদিকে গৃহিনী রান্নাবান্না করতে গেলে ধূলাবালি পড়ছে খাবারে। গ্রামের আবাদী জমি কেটে মাটি নেওয়ায় কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী মেয়েদের ট্রাক্টরে থাকা শ্রমিকেরা অশ্লীল ভাষায় ইভটিজিং করছে। গত ১৫ নভেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ২০ নভেম্বর মানে আজ পর্যন্ত সময় বেধে দেয় বাইপাস রাস্তা করার জন্য। কিন্তু ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের ইচ্ছামত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর যাতায়াত করাচ্ছেন বলে গ্রামবাসীর অনেকে অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ: দা:) জানান, ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা সময় বেধে দিয়েছি বাইপাস রাস্তা করার জন্য এবং ৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে তদন্ত করার জন্য। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি সম্পর্কে সার্বিক খোজঁখবর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেই সময় উপরে উল্লেখিত কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক ট্রাক্টর ড্রাইভারকে ২০দিনের জেল ও ট্রাক্টর মালিক সুবরাত আলীর নামে চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টে একটি নিয়মিত মামলা করেন। যাহা এখনো অব্যাহত আছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।