
স্বাস্থ্য প্রতিনিধি:
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি দিন যদি একটি বেদানা খাওয়া যায়, তা হলে হৃদ্রোগ দূরে রাখা সম্ভব। সত্যিই কি তাই? বেদানায় রয়েছে বহু উপকারী পুষ্টিগুণ, শরীরের খেয়াল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বেদানা ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ। আর তাই রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে বেদানা। হৃদরোগ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে বেদানার রস টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বেদানার রস। কারণ এই ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো ছোট থেকেই মেয়েদের নিয়মিত বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
হার্টের খেয়াল রাখা সহজ নয়। খাওয়াদাওয়া থেকে দৈনন্দিন জীবনযাপন, সর্বত্র কড়া নজর রাখা প্রয়োজন। নয়তো কখন কোন রোগ এসে হৃদ্যন্ত্রে বাসা বাঁধে, তা বলা কঠিন। কিন্তু নানা নিয়ম নানা সত্ত্বেও হৃদ্রোগ তো ঠেকানো যাচ্ছে না।
সমীক্ষা বলছে, গোটা বিশ্বে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর অর্ধেকের কারণ হার্ট অ্যাটাক। হৃদ্রোগের ঘটনা ক্রমশ ব়েড়ে চলেছে। শুধু বয়স্কদের মধ্যেই যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তা কিন্তু নয়। কমবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদ্রোগে। এই রোগ ঠেকানোর সত্যিই কি কোনও উপায় নেই?
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, বাইরের তেলমশলা জাতীয় খাবার খাওয়া, যথেষ্ট ঘুম না হওয়া, নুন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া— এই কারণগুলি হৃদ্রোগের নেপথ্যে রয়েছে। শরীরের যত্ন নেওয়া, সুষম খাবার খাওয়া এবং মানসিক চাপ কম নেওয়া— এই তিনটি নিয়ম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তবে এই তালিকায় রয়েছে একটি ফল। হৃদ্রোগ দূরে রাখতে সেটি দারুণ কার্যকরী। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি দিন যদি একটিও বেদানা খাওয়া যায়, তা হলে হৃদ্রোগ দূরে রাখা সম্ভব।