পৌর নাগরিকের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ায় আমার কাজ

চুয়াডাঙ্গার হাজরাহাটিতে রাস্তা নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে মেয়র জিপু চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেছেন, ‘১৯৭২ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত। সেই থেকে এই পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইতিহাসে সবথেকে যদি কোনো পরিষদ কাজ করে থাকে, তবে সেটি বর্তমান পরিষদ। এই হাজরাহাটি গ্রাম পৌরসভার মধ্যে বহুদিন ধরে। তবে নামমাত্রই পৌর সেবা পেত। আমি চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য। আগে বেশ কয়েকটি কাজ হয়েছে। আপনারা বলেছেন, এই মাঠের রাস্তাটি আপনাদের সবথেকে বেশি প্রয়োজন। এমনকি আপনারা এ কথাও বলেছেন, অন্য রাস্তার আগে এই রাস্তাটি করতে হবে। আমি পৌর নাগরিকের কথার গুরুত্ব দিয়েছি সবথেকে বেশি। এই রাস্তার কাজটিই আপনাদের কথা রেখে করছি। আপনারাই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। পৌর নাগরিকের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ায় আমার প্রধান কাজ।’
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজরাহাটি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া, মাঠের কাঁচা রাস্তায় হেরিং (এইচবিবি) রাস্তা নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় পৌরসভার কাউন্সিলর-কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে এ কাজের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আওতায় এ নির্মাণকাজ হবে।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আমি নিজে দেখছি, চার বছরে মেয়র হিসেবে জিপু যে কাজগুলো করেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইতিহাসে এতো কাজ হয়নি। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পৌরবাসীকে নাগরিক সেবা দিচ্ছে। মানুষের টানে ছুটছে সে প্রতিনিয়তই। এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হলে পৌরনির্বাচনে আবারো জিপুকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগে এমন মেয়র দেখিনি। মানুষের জন্য কখনো নিজে সাইকেল চালিয়ে, কখনো হেঁটে দিন-রাত পরিশ্রম করছে জিপু। জিপু একটি নাম নয়, সে নিজেই একজন অনুকরণীয় মানুষ। তাঁকে আবারো মেয়র হিসেবে পেলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আরও বেশি উন্নয়ন হবে।’
উদ্বোধকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর রাশেদুল ইসলাম মানু, মহিলা কাউন্সিলর সুলতানারা রত্না, সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওসার, জেলা দোকান মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ দীপন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাজ এন্টারপ্রাইজ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা সমির আলী, আব্দুল শুকুর আলী, ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তাওরাত, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শিবলুর রহমান, সাজেদুল হক রাজু, পৌর ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ, সবুজ, সৌরভ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম তোতা, টুকু মুন্সি, মনোয়ার শেখ, স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী, সমীর উদ্দীন, রবি শেখ, তানভীর, রবি মালিতা, হান্নু মুন্সি, হাতেম আলী, সবুজ প্রমুখ।