পুলিশবিহীন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা, নিরাপত্তাহীনতায় জনগণ
- আপলোড টাইম : ১২:৫২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুু থানাধীন ৬টি ক্যাম্প এখন পুলিশবিহীন। বড় বড় তালা লাগিয়ে নিরাপত্তায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। অগ্নিকাণ্ড, লুটপাট ও হামলার শিকারের ভয় রয়েছে ক্যাম্পগুলোতে। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় আর পুলিশ সদস্যদের দেখা মেলেনি। ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। যেখানে পুলিশ নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় সেখানে তাদের জননিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি পরের প্রশ্ন। গত শনিবার নিরাপত্তার জন্য কোথাও কোনো পুলিশ বা র্যাব সদস্যের দেখা মেলেনি। এদিকে গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিকে হরিণাকুণ্ডুু থানায় তালা ঝোলানো দেখা যায়।
পুলিশের অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। রাতে হরিণাকুণ্ডুু উপজেলা যেন আরও অনিরাপদ। অনেকেই বলেছেন, তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বেগ রয়েছে। পুলিশের অভ্যন্তরেও এক ধরনের বিশৃঙ্খলা চলছে।
জোড়াদহ, তাহেরহুদা, রঘুনাথপুর, সোনাতনপুর, নারকান্দি এলাকায় ঘুরে সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুলিশবিহীন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জোর করে চাঁদা দাবি, প্রকাশ্যে জমি দখল করে নিলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারাচ্ছে না সাধারণ জনগণ। বিচারের দাবিতে কোথাও তাদের ঠাঁই হচ্ছে না। একটি মহল রাত হলেই বের হচ্ছে ছিনতাই ও লুট করা কাজে। আবার গরু-ছাগল নিরাপত্তাহীনতার কারণে অন্য জায়গায় সরিয়ে ফেলছে।
ভায়না ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আলতাপ হোসেন বলেন, ‘আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি প্রাণের ভয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ি।’
সরকারি সকল অফিস চালু থাকলেও হরিণাকুণ্ডুু উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ জনগণ। বিএনপির পক্ষ থেকে মাইকিং করে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।