পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ তাড়ানোর সুর বিজেপির
- আপলোড টাইম : ০৯:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮
- / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব ডেস্ক: আসামের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ তাড়ানোর সুর তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। আসামে ৪০ লাখ মানুষকে দেশের মধ্যে উদ্বাস্তু করে দেয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে ওই সুর তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সেক্রেটারি জেনারেল ইনচার্জ কৈলাশ ভাজাইভারগিয়া। তিনি বলেছেন, আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গ হবে পরবর্তী টার্গেট। এখানে ‘বাংলাদেশ থেকে গিয়ে আশ্রয় নেয়া অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্তকরণের’ একই রকম উদ্যোগ নেয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গে এমন অভিবাসীর সংখ্যা কয়েক কোটি হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলেন কৈলাশ ভাজাইভারগিয়া। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজ চায় বাংলাদেশ থেকে যেসব অবৈধ অভিবাসী পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন তাদের চিহ্নিত করা হোক। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজও (আসামের মতো) বেকারত্ব, আইন শৃংখলার মতো আরো অনেক একই রকম সমস্যার মোকাবিলা করছে। এক্ষেত্রে তাদের সেই দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে বিজেপির। কৈলাশ ভাজাইভারগিয়া বলেন, আসামে (ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনের) চূড়ান্ত খসড়ায় ৪০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে কয়েক কোটিতে দাঁড়াতে পারে। আসামের বিষয়টি নজরদারি করছে সুপ্রিম কোর্ট। একই কাজ করা যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গেও। ইতিমধ্যে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) ইস্যুতে পার্লামেন্টের ভিতর প্রতিবাদ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। এনআরসির চূড়ান্ত খসড়ায় ৪০ লাখ মানুষকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে লোকসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনেন তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি সুগাতা রয়। অন্য বিরোধী দলের সঙ্গে রাজ্যসভায়ও হট্টগোলের সৃষ্টি করে এ দলটি। ফলে রাজ্যসভা মুলতবি করা হয়। জিরো আওয়ারে এ ইস্যুটি লোকসভায় উত্থাপন করেন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত। এটা ৪০ লাখেরও বেশি মানুষকে নিয়ে প্রশ্নের বিষয়।