ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

নেক আমলের প্রতিযোগিতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৮৩৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: নেক বা ভালো কাজে প্রতিযোগিতা প্রশংসনীয়। কোরান হাদিসে নেক কাজে তড়িঘড়ি করার প্রতি তাগিদ করা হয়েছে। কোরানে বলা হয়েছে, ‘সৎ কাজে অন্যের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো।’ কেউ ইবাদত করছে, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকছে, তার দেখাদেখি নিজেও এসব গুণ অর্জনের চেষ্টা থাকা উচিত। আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা কার চেয়ে কে বেশি টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ কামাই করব তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। ইসলামে এটাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামের কঠিনতম একটি জিহাদ তাবুক। অসম এই যুদ্ধে যখন সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান করলেন রাসুল (সা.) তখন আবু বকর (রা.) আর ওমর (রা.)-এর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়েছিল কে বেশি দান করতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আবু বকর (রা.)ই নিজের সবকিছু দান করে দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। এভাবে বিভিন্ন ভালো কাজে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুনিয়ার ব্যাপারে তোমরা তোমাদের নিচের মানুষদের প্রতি তাকাবে। তোমাদের চেয়ে ধনেজনে যারা নিচু তাদের সঙ্গে ওঠাবসা করবে আর দীনের ব্যাপারে তোমরা ওঠাবসা করবে বড়দের সঙ্গে। যারা তোমাদের চেয়ে অগ্রসর তাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করবে।’ কারণ দুনিয়ার ব্যাপারে যত ওপরে তাকাবে ততই মানুষ অশান্তিতে ভুগবে। এ জন্য ইসলামের পরামর্শ হলো, সব সময় নিজের থেকে নিচের লোকদের দিকে তাকাতে হবে। তবে ভালো ও নেক কাজের প্রতিযোগিতায় ওপরের দিকে তাকাতে হবে। হাদিসে রাসুল (সা.) দরিদ্র হওয়ার আগেই দান-সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। অসুস্থতা ও বার্ধক্যে পতিত হওয়ার আগেই সৎ কাজ করার কথা বলেছেন। মৃত্যুর আগেই নিজেকে গুনাহমুক্ত করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কারণ কারো এ কথা জানা নেই, কার জীবনের সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। কে কখন কীভাবে চলে যেতে হবে তা অজানা। এ জন্য পরকালীন জীবনের পুঁজি এখনই অর্জন করা দরকার আর এর জন্য প্রয়োজন প্রতিযোগিতা। সৎ ও উত্তম কাজের প্রতিযোগিতা থাকলে জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানো সম্ভব হয়। যারা জীবনে সফল হয়েছেন তাদের সবাই সৎকাজের প্রতিযোগিতায় নিজেকে বিজয়ী করেছেন। মূলত নেক কাজের কোনো নির্দিষ্ট সীমা ও পরিম-ল নেই। ইচ্ছে থাকলে প্রতিটি মুহূর্তেই নেক কাজে অংশ নেয়া যায়। এ জন্য সবার উচিত নেক কাজে প্রতিযোগিতা করা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নেক আমলের প্রতিযোগিতা

আপলোড টাইম : ০৯:০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: নেক বা ভালো কাজে প্রতিযোগিতা প্রশংসনীয়। কোরান হাদিসে নেক কাজে তড়িঘড়ি করার প্রতি তাগিদ করা হয়েছে। কোরানে বলা হয়েছে, ‘সৎ কাজে অন্যের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো।’ কেউ ইবাদত করছে, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকছে, তার দেখাদেখি নিজেও এসব গুণ অর্জনের চেষ্টা থাকা উচিত। আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা কার চেয়ে কে বেশি টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ কামাই করব তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। ইসলামে এটাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামের কঠিনতম একটি জিহাদ তাবুক। অসম এই যুদ্ধে যখন সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান করলেন রাসুল (সা.) তখন আবু বকর (রা.) আর ওমর (রা.)-এর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়েছিল কে বেশি দান করতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আবু বকর (রা.)ই নিজের সবকিছু দান করে দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। এভাবে বিভিন্ন ভালো কাজে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুনিয়ার ব্যাপারে তোমরা তোমাদের নিচের মানুষদের প্রতি তাকাবে। তোমাদের চেয়ে ধনেজনে যারা নিচু তাদের সঙ্গে ওঠাবসা করবে আর দীনের ব্যাপারে তোমরা ওঠাবসা করবে বড়দের সঙ্গে। যারা তোমাদের চেয়ে অগ্রসর তাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করবে।’ কারণ দুনিয়ার ব্যাপারে যত ওপরে তাকাবে ততই মানুষ অশান্তিতে ভুগবে। এ জন্য ইসলামের পরামর্শ হলো, সব সময় নিজের থেকে নিচের লোকদের দিকে তাকাতে হবে। তবে ভালো ও নেক কাজের প্রতিযোগিতায় ওপরের দিকে তাকাতে হবে। হাদিসে রাসুল (সা.) দরিদ্র হওয়ার আগেই দান-সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। অসুস্থতা ও বার্ধক্যে পতিত হওয়ার আগেই সৎ কাজ করার কথা বলেছেন। মৃত্যুর আগেই নিজেকে গুনাহমুক্ত করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কারণ কারো এ কথা জানা নেই, কার জীবনের সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। কে কখন কীভাবে চলে যেতে হবে তা অজানা। এ জন্য পরকালীন জীবনের পুঁজি এখনই অর্জন করা দরকার আর এর জন্য প্রয়োজন প্রতিযোগিতা। সৎ ও উত্তম কাজের প্রতিযোগিতা থাকলে জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানো সম্ভব হয়। যারা জীবনে সফল হয়েছেন তাদের সবাই সৎকাজের প্রতিযোগিতায় নিজেকে বিজয়ী করেছেন। মূলত নেক কাজের কোনো নির্দিষ্ট সীমা ও পরিম-ল নেই। ইচ্ছে থাকলে প্রতিটি মুহূর্তেই নেক কাজে অংশ নেয়া যায়। এ জন্য সবার উচিত নেক কাজে প্রতিযোগিতা করা।