নির্বাচনে বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে: কাদের

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা নির্বাচন চাই। এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদেরকে আমরা অবশ্যই প্রতিহত করব। যারা আন্দোলনের নামে নির্বাচনকে সামনে রেখে বাসে আগুন দেয়, বাস ভাঙচুর করে; এরাই একটা পলিটিক্যাল ভায়োলেন্সে (সহিংসতা) আছে; কাজেই ওদের খবর আছে। আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, অবাধ ও নিরপেক্ষ করব। সরকার এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ স্মৃতি হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও আমাদের আদর্শ সবকিছুর সঙ্গে নজরুল জুড়ে আছেন। নজরুল আমাদের জাতীয় কবি, প্রেমের, বিদ্রোহ ও বেদনার কবি। সাহিত্যের সব শাখাতেই তার বিচরণ। নজরুলের মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা উজ্জীবিত হতে চাই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টিকারী সাম্প্রদায়িকতা আজকে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে জন্য আমাদের আরও লড়াই করতে হবে এবং সেটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার; নজরুলের চেতনার প্রতীক। এর আগে জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি বলেন, কবিতা, নাটক, গল্প প্রতিটি সৃজনশীল কাজই একটি পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় রচনা করা হয়। নজরুলের মর্মবাণী একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ। এই সমাজ প্রতিষ্ঠার অবারিত প্রয়াস আমাদের রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নজরুল আমাদের সাহিত্যে যে অনবদ্য অবদান রেখেছেন সেজন্য তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণার’ শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। নজরুল প্রথম কাব্যগ্রন্থ তাকে সারা পৃথিবীতে মানবতা ও সাম্যের কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি কাব্যগ্রন্থটি তৎকালীন এই বাংলার বিপ্লবী কবি বারেন্দ্র কুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনে উৎকৃষ্ট সময়ে ১২টি কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন।
এ দিকে ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভোর থেকেই কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ছুটে আসেন বিভিন্ন দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ। সকাল সাড়ে ৬টায় ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্রমান্বয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির পক্ষে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন শ্রদ্ধা জানান।